ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ইসলাম প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪ : প্রশ্ন: রমজান মাসে রোজারত অবস্থায় নারীদের ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলে কিংবা ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হলে কী কী করণীয়?
আর রোজার সঙ্গে যাতে মিলে না যায়, তাই উচিত হচ্ছে— গোপনে পানাহার করা। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা হারাম আর হারামের সঙ্গে মিলে যায় এমন যে কোনো কাজ করাকেও অনেক ফুকাহারা নাজায়েজ বলেছেন। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে, যাতে কোনো রোজারদের সামনে প্রকাশ্যে পানাহার না করা হয়।
Advertisement
অবশ্য রমজানের দিনেরবেলায় যদি কোনো নারীর হায়েজ/ ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং তিনি পবিত্র হয়ে যান তা হলে ওই দিনের অবশিষ্ট সময় তার জন্য পানাহার থেকে বিরত থাকা জরুরি। পরে ছুটে যাওয়া রোজার সঙ্গে শেষের দিনের রোজারও কাজ করতে হবে।
নারীর পিরিয়ডের ঋতুস্রাবের সময়সীমা ছয় বা সাত দিন হয়; কিন্তু মাঝেমধ্যে এ সময়সীমা বৃদ্ধি হয়ে আট, নয়, দশ অথবা এগারো দিনে গড়ায়, তা হলে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাকে নামাজ আদায় ও রোজা রাখতে পারবেন না। (সুরা বাকারা : ২২২)
পিরিয়ডের রক্ত থাকাকালীন নারী আপন অবস্থায় থাকবে, তারপর ভালো হয়ে গেলে গোসল করে নামাজ ও রোজা আদায় করতে পারবে।
রোজা পালনকারী নারীর যদি সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ আগেও পিরিয়ড দেখা দেয়, তা হলে তার ওই দিনের রোজা বাতিল হয়ে যাবে। পরে রোজাটি কাজা করতে হবে।
Advertisement
যদি রমজানের রাতে সুবহে সাদিক হওয়ার সামান্য আগেও কোনো নারী পিরিয়ড থেকে পবিত্র হন, তবে তার ওপর রোজা পালন আবশ্যক। কারণ তিনি রোজা পালনে সক্ষমদের অন্তর্ভুক্ত। তার রোজা পালনে এখন কোনো অন্তরায় না থাকায় রোজা পালন ওয়াজিব।
এক্ষেত্রে তিনি পবিত্র হওয়ার গোসল সুবহে সাদিকের পর করলেও রোজা শুদ্ধ হবে। যেমন গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি সুবহে সাদিকের পর গোসল করলে তার রোজা শুদ্ধ হয়।
Advertisement
আধুনিক যুগে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা যায়। কোনো নারী যদি ওষুধ খেয়ে রোজা রাখতে চান, তা হলে তার রোজা হয়ে যাবে। তবে প্রাকৃতিক নিয়মে ব্যত্যয় ঘটানো অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। তাই আল্লাহর স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী চলা এবং ওষুধ গ্রহণ না করাই শ্রেয়।
সূত্র: (হেদায়া ১/২২৫; কিফায়া ৩/২৮৩; ফাতহুল বারি ২/২৮২; হাশিয়াতুত ত্বহত্ববী আলা মারাকিল ফালাহ পৃ.৩৭০; আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪২০)