ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকার ধামরাইয়,সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪ : ঢাকার ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান পূর্বশত্রুতার জেরে হাসেম আলী (৩৫) নামের এক যুবককে তাঁর নিজ বাড়িতে নিয়ে চোর অপবাদ দিয়ে হাত-পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হাসেমকে ঢাকার অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসার পর ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় শনিবার ধামরাই থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি।
Advertisement
রবিবার (১০ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাসেম আলীর বসতবাড়িতে ঘর নির্মাণের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল স্থানীয় চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের। হাসেম পেশায় ভবন (বিল্ডিং) ঠিকাদার। পাঁচ মাস ধরে চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে হারেজ মিয়ার পাঁচতলা ভবন নির্মাণের কাজ করছিলেন হাসেম। এসব বিষয় নিয়ে তাঁর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধ ছিল।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হারেজ মিয়ার কাছ থেকে তাঁর নির্মীয়মাণ ভবনের কাজের মজুরি হিসেবে এক লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন হাসেম।
Advertisement
চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের ভাতিজা আনোয়ার হোসেনের বাড়ির কাছে পৌঁছালে আনোয়ার ও তাঁর ভাই দেলোয়ার চোর চোর বলে হাসেমকে জাপটে ধরে চিত্কার শুরু করেন। এরপর চেয়ারম্যান ও তাঁর দুই ছেলে মমিন হোসেন ও রিপন হোসেন হাশেমকে বাড়িতে নিয়ে পিছমোড়া করে বেঁধে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। খবর পেয়ে হাসেমের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম ও হাসেমের বড় ভাই জাহের আলী, রাহিম আলীসহ পরিবারের লোকজন চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে মিনতি করলেও নির্যাতন বন্ধ করেনি।
পরে ধামরাই থানার এসআই অসীম বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে মুমূর্ষু ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হাসেমকে উদ্ধার করে।
Advertisement
এদিকে হাসেম আলীর স্ত্রী হোসনেয়ারা জানান, ‘খাতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিমপাশে আমাদের জমিতে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করতে বাধা দিয়েছিলেন লুত্ফর চেয়ারম্যান। কিন্তু সেখানে আংশিক ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর পর থেকেই তিনি হাসেমের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।’
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি।
তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’