ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ প্রতিনিধি,সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪ : গত চার বছর ধরে পবিত্র রমজান মাসে ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করছেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর রৌহা গ্রামের খামারি এরশাদ উদ্দিন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না, বরং আরও বড় পরিসরে করবন বলে জানিয়েছেন।
Advertisement
সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এমন ঘোষণা দিয়েছেন এরশাদ উদ্দিন। তিনি লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ রমজান মাস আসছে। প্রতিবছরের মতো এবারও ১০ টাকা কেজি দরে পুরো মাসে প্রায় ২ টন দুধ সরবরাহ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
এরশাদ উদ্দিন বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জে সি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান।
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রৌহা গ্রামে এরশাদ উদ্দিন জে সি অ্যাগ্রো নামে একটি খামার দিয়েছেন। যেখানে প্রায় তিন শতাধিক গরু রয়েছে। এর মধ্যে, বর্তমানে ২০টি গরু প্রতিদিন ৭০-৭৫ লিটার দুধ দিচ্ছে। পুরো রমজানে সেই দুধ ১০ টাকা লিটারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খামার মালিক। যে কেউ ১০ টাকা লিটারে সর্বোচ্চ এক লিটার দুধ খামার থেকে কিনতে পারবেন।
Advertisement
রৌহা গ্রামের দিনমজুর নিয়ামত উদ্দিন এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, রমজানে দুধের একটি চাহিদা থাকে। তাই এসময় দুধের দামও বেশি থাকে। তাই প্রয়োজন হলেও অনেকের দুধ কেনার সামর্থ্য থাকে না। কিন্তু এরশাদ ভাই কয়েক বছর ধরে এলাকার মানুষদের জন্য ভালো একটা ব্যবস্থা করেছেন, যার ফলে রমজানে দুধ নিয়ে অন্তত আমাদের বাড়তি কোনো চাপ থাকে না। আমরা এলাকাবাসী তাকে নিয়ে গর্ব করি।
Advertisement
বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জে সি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান এরশাদ উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, সারাদিন রোজা শেষে মানুষ একটু ভালোমন্দ খেতে চায়। সবারই ইচ্ছা থাকে, ইফতারে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে দুধ থাকুক। কিন্তু দুধসহ সবকিছুর দামই তো আকাশছোঁয়া। ইচ্ছা থাকলেও সবাই দুধ কিনতে পারবে না। এসব ভেবে এবার আরও বড় পরিসরে করার উদ্যোগ নিয়েছি। এই রমজানে ১০ টাকা লিটারে ২ টন দুধ বিক্রি করা হবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন ৭০ জনের কাছে এক লিটার করে দুধ বিক্রি করা হবে। চলবে রোজার শেষদিন পর্যন্ত। প্রতি লিটার দুধের দাম ধরা হয়েছে মাত্র ১০ টাকা। নিয়ামতপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজনের কাছে এই দুধ বিক্রি করা হবে। এসব এলাকায় গ্রুপ ও রুটিন করে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত গ্রুপ রুটিন অনুযায়ী দুধ কিনতে আসবে। ফলে দুধ কেনাবেচায় কোনো বাড়তি ভিড় হবে না।