পাওনা টাকা চাওয়ায় মেস পরিচালিকাকে হত্যা!

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া প্রতিনিধি,শনিবার, ০২ মার্চ ২০২৪ : মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া একটি ভাড়াটিয়া মেস পরিচালিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার (১ মার্চ) ভোরে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের নতুনচর সিটি গেইট সংলগ্ন শামীম মিয়ার ভাড়াটিয়া মেসে এ ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে গজারিয়া থানা পুলিশ মরদেহটি তাদের হেফাজতে নেয়। তাছাড়া ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ইট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত ওই মেস পরিচালিকার নাম মাবিয়া খাতুন (৫৫)। সে খুলনা জেলার তেরোখাদা উপজেলার হিন্দুকোসলা গ্রামের আব্দুল গাফফার মোল্লার স্ত্রী।

Advertisement

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মেসে থাকা বিল্লাল হোসেন নামের এক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে খাওয়ার টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় নিহত মাবিয়ার। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটার পর থেকে এ মেসে অনুমানিক ৩৫-৪০ জন লোক থাকলেও বিল্লালকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে প্রাথমিকভাবে মৃতদেহের গায়ের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটির বিষয়ে নিহতের স্বামী গাফ্ফার কালবেলাকে জানান, দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ এ এলাকায় বসবাস করেন তারা। বৃদ্ধ স্বামী এবং স্ত্রী মিলে শামিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ৩০-৪০ জনের মেসে খাওয়ান। তবে জীবনের শেষ দিকে এসে কেউ তার স্ত্রীকে এভাবে খুন করে হত্যা করবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেনি।

তিনি আরো জানান, প্রতিদিনের মতো সে আজও মেসের জন্য সকালের নাস্তা বানাতে ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে প্রতিদিন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে একসঙ্গে রান্নার কাজ শুরু করলেও আজ আমাকে ঘুম থেকে না ডেকে একাই কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হয়তো এ সুযোগেই হত্যাকারী তাকে হত্যা করেছে।

Advertisement

তিনি আরো বলেন, হত্যাকরী তার স্ত্রীকে হত্যা করেই খ্যান্ত হয়নি। তার সঙ্গে থাকা কানের দুল, নাকফুল এবং গলায় থাকা স্বর্নের চেইন নিয়ে গেছে। বাড়ীর গেট তালা বন্ধ থাকায় বাসার দক্ষিণ দিকের একটি ঘরের জানালা খুলে চলে গেছে।

নিহতের স্বামী এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

নিহত মাবিয়ার মেয়ে হত্যাকারীর ফাঁসি দাবি করে বলেন, বিনা অপরাধে আমার মাকে যারা এভাবে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। আমাদের সন্দেহ বিল্লাল হোসেন নামের ওই ব্যক্তির ওপর। যেহেতু সেই লোকের সঙ্গে রাতে আমার মায়ের তর্কবিতর্ক হয়েছে। আর এ ঘটনার পর মেসে সবাই থাকলেও সে নাই।

Advertisement

সন্দেহভাজন বিল্লাল হোসেন হোসেন্দী ইউনিয়নরে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি বরিশালে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খাঁন কালবেলাকে জানান, ঘটনার তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ কাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।