ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে শক্তিশালী অবস্থানে আছে আরাকান আর্মি। প্রশ্ন উঠছে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এতো অস্ত্র ও গোলাবারুদ কোথায় পাচ্ছে আরাকান আর্মি। তাদের অর্থায়নই বা করছে কারা? সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান আর্মি বেশির ভাগ অস্ত্র পাচ্ছে চীন থেকে। একই সঙ্গে চীন আরাকান আর্মিকে ৯৫ শতাংশ অর্থায়ন করছে।
Advertisement
মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে বিদ্রোহীদের। যে তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নাম ঘুরেফিরে, আসছে তার একটি হচ্ছে আরাকান আর্মি। রাখাইনে প্রতিনিয়ত প্রভাব বাড়ছে বিদ্রোহী এ গোষ্ঠীটির। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অঞ্চলে আরাকান আর্মির কর্তৃত্ব যত বাড়বে, ভূরাজনীতি তত বেশি জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Advertisement
প্রশ্ন হচ্ছে, আরাকান আর্মি কারা? জান্তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে এত গোলাবারুদ কোথায় পাচ্ছে গোষ্ঠীটি বা তাদের পেছন থেকে মদদ দিচ্ছে কোন দেশ?
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, আরাকান আর্মি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যার পুরোনো নাম হারাকাহ আল-ইয়াকিন। অবশ্য আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান গঠিত হয় ২০০৯ সালে।
Advertisement
রাজনৈতিকভাবে আরাকানভিত্তিক হলেও এএর ক্যাডারদের অবস্থান মূলত কাচিন এলাকায়। সেখানে লাইজা অঞ্চলে এদের সদর দপ্তর।
Advertisement
জান্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে আরাকান আর্মি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির বেশির ভাগ অস্ত্র ও গোলাবারুদের জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত কাচিন ইন্ডিপেন্ডেনস আর্মি ও তাদের মিত্র ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি। এসব অস্ত্র-গোলাবারুদ কেনা হয় কালোবাজারিদের কাছ থেকে।
সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান আর্মি বেশির ভাগ অস্ত্র পাচ্ছে চীন থেকে। একই সঙ্গে চীন আরাকান আর্মিকে ৯৫ শতাংশ অর্থায়ন করছে।
Advertisement
বিশ্লেষকরা বলছেন, আরাকান আর্মির প্রতি ভারতের কোনো সমর্থন নেই। তবে তাদের প্রতি চীনের সমর্থন আছে বলে মনে করেন তারা। এর কারণ হলো, রাখাইন রাজ্যে চীনের গভীর সমুদ্রবন্দর ও গ্যাস পাইপলাইনসহ বড় অঙ্কের বিনিয়োগ।