ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি,শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : কুড়িগ্রামে শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিন্দু ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Advertisement
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শরিফুল ইসলাম সোহান ঘোষপাড়ার হাটিরপাড় এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। এ ছাড়া তিনি জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য ও কুড়িগ্রাম পৌরসভা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শহরের খলিলগঞ্জ এলাকার অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে একটি জিপগাড়ি দাঁড় করানো ছিল। হঠাৎ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতা সিয়াম ও রিয়াদ মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপের পাশে পড়ে গিয়ে আহত হয়। এরপর জিপে থাকা কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সোহানসহ কয়েকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে খবর পেয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহানকে মারপিট শুরু করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিউল ইসলাম বলেন, সদর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিন্দুর নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমি সব অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
Advertisement
এদিকে, কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোহান হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে হত্যার প্রতিবাদে মোটর মালিক সমিতি, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা শহরের শাপলা চত্বরে, কাঁঠালবাড়ী ও পাঁচগাছি এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রেজভী কবির বিন্দুকে আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তসহ একজনকে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহতের স্বজনরা থানায় আছেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Advertisement
জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মূল অভিযুক্ত সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পলিটেনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতিকে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।