ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাজশাহী প্রতিনিধি,রোববার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : রাজশাহীতে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি পেয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের মহানগর ডিবি পুলিশের হাতে দেয়া হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন সহকারি উপপরিদর্শক ও দুইজন কনস্টেবল।
Advertisement
শনিবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন কারিমা খাতুন নামের এক পরীক্ষার্থী। তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম।
Advertisement
শাহরিয়ার পারভেজ শিমুলের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায়। আবদুর রহমানের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তবে গোলাম রাব্বানীর বাড়ি কোথায় তা জানা যায়নি। তাদের সবাইকে রাতে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষার আগে পুলিশের এই সদস্যরা ১৫ থেকে ২০ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীকে পাস করিয়ে দেয়ার চুক্তি করেন। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে খুবই ছোট আকারের হেডফোন সরবরাহ করেন। হেডফোনের মাধ্যমে বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নের সব উত্তর বলে দেয়ার কথা ছিল। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার করে চুক্তি করা হয়েছিল, নেয়া হয়েছিল চেক এবং স্ট্যাম্প। পুলিশের অভিযানে কিছু স্ট্যাম্প, একটি ১০ লাখ টাকার চেক এবং ১৪টি গোপন ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষার আগের রাতে এই পুলিশ সদস্যদের এমন তৎপরতার বিষয়ে জানতে পেরে প্রথমেই আরএমপি সদর দফতরের কম্পিউটার অপারেটর শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল ও আবদুর রহমানকে আটক করে আরএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের নগর ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে রাখা হয়। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানা থেকে এএসআই গোলাম রাব্বানীকে আটক করা হয়।
পুলিশের ধারণা, এ চক্রের সঙ্গে শুধু পুলিশ নয়, এর সঙ্গে আরও প্রতারক জড়িত রয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। চক্রটির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বাকিদের সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
Advertisement
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগে এক পরীক্ষার্থী শনিবার সন্ধ্যায় রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের নাম উল্লেখ আছে। বাকি দুজনকে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করেছে ভুক্তভোগী। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এএসআই গোলাম রাব্বানী এবং কনস্টেবল আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারক হিসেবে মামলা করা হয়েছে, পুলিশ সদস্য হিসেবে নয়।