‘আয়ানের খৎনায় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এত লাগে না’(ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,বার,৩০ জানুয়ারি ২০২৪ : খতনা করাতে গিয়ে রাজধানী বাড্ডার সাঁতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনকে আইওয়াশ ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন শুনানিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন শুরু করলে আদালত জানতে চান, শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় সুরতহাল করা হয়েছিল কিনা। এ সময় তিন পক্ষের (রাষ্ট্র, রিটকারী ও হাসপাতালের) আইনজীবী সমস্বরে ‘না’ বলেন। তখন আদালত বলেন, মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক ধারণা নেওয়ার জন্য সুরতহাল রিপোর্ট করা প্রয়োজন। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন লোক দেখানো (আইওয়াশ) ও হাস্যকর ছাড়া কিছুই না মন্তব্য করে আদালত বলেন, কোনো চিকিৎসকই রোগীর মৃত্যু চান না। তবে এখানে আয়ানের চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের অবহেলা দেখা যাচ্ছে। দায় এড়ানোর জন্যই তারা (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এ ধরনের রিপোর্ট দাখিল করেছে।

Advertisement

শিশু আয়ানের অ্যাজমা সমস্যা থাকার কথা জানার পরও কেন চিকিৎসকরা অপারেশনের জন্য এত তাড়াহুড়া করলেন? খতনা করার সময় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এত ওষুধ লাগে না বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। এখানে চিকিৎসকদের একটা নিয়মে চলা উচিত উল্লেখ করে ‘মেডিকেল নেগলিজেন্স’ বিষয়ে একটি টিম বা বোর্ড গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন আদালত।

এ পর্যায়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আসা প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে জমা না দেওয়ায় আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য নির্ধারণ করেন আদালত।

Advertisement

গতকাল প্রতিবেদনটি আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। আদালতে ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। গত বৃহস্পতিবার আয়ানের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করানোর জন্য আনা হয় আয়ানকে। সেদিন সকাল ৯টায় খতনা করার জন্য তাকে অজ্ঞান করা হয়।

Advertisement

ফুল অ্যানেসথেশিয়া দিয়ে সুন্নতে খতনা করান চিকিৎসক। বেলা ১১টায়ও জ্ঞান না ফিরলে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে এনে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় আয়ানকে। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।