ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার,২৬ জানুয়ারি ২০২৪ : মারা যাওয়ার পরও রড দিয়ে তিন দফা পেটানো হয় জুয়েলকে। পরে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয় তার নিথর দেহ। এমনই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে রাজধানীর শ্যামলীর একটি এনজিও কার্যালয়ে। পুলিশ জানায়, এনজিওটির নিরাপত্তা প্রহরী জুয়েলকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলো তারই সহকর্মী আখতার।
Advertisement
মঙ্গলবার ভোট পাঁচটা ছয় মিনিটের সিসিটিভি ক্যামেরার দৃশ্য এটি। ভিডিওতে নিরাপত্তা কর্মী আখতারকে একটি লোহার পাইপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় চেয়ারে বসেই ঘুমাচ্ছিলো জুয়েল। হঠাৎ লোহার পাইপ দিয়ে জুয়েলের মাথায় এলোপাথাড়ি মারতে থাকে আক্তার।
Advertisement
পরে তার নিথর দেহটি পা ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় ভবনটির পাওয়ার সাবস্টেশন রুমের দিকে। সেখানে গিয়েও বেশ কয়েক দফা লোহার পাইপ দিয়ে আক্তার আঘাত করে জুয়েলকে।
ঢাকার তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আজিমুল হক বলেন, তার শরীরে বিভিন্ন যায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা গেলো, এখানে যে সাবস্টেশন রুম আছে সে রুমের ভেতরে লাশটি ছিলো। পরে সাবস্টেশন কর্মী এসে রুম খুলে এবং সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
পুলিশ বলছে, ভ্রাম্যমাণ বেশ কিছু যৌনকর্মীর সাথে সখ্যতা ছিলো আক্তারের। যা দেখে ফেলে জুয়েল। কর্তৃপক্ষকে বলে দিতে পারে এমন ভয় ও ক্ষোভ থেকে সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
Advertisement
তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ভাসমান যৌনকর্মীদের সাথে আসামি আখতারের সম্পর্ক ছিলো এবং এটা ভিক্টিম দেখে ফেলেন। যার কারণে তার মোবাইল সে নিয়ে নেয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে চরম বৈরিতা তৈরি হয়। সে বৈরিতা থেকেই এ হত্যাকাণ্ড।
চলতি মাসের ১ তারিখে এনজিওটিতে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন জুয়েল।