ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ : জাতীয় সংসদে ৬০০ এমপি দায়িত্ব পালন করছেন। আপিল বিভাগের রায়ের এমন ভুল ব্যাখ্যা দেয়ায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের মামলা শুনলেন না আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চে নিজের মামলার শুনানির জন্য যান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এসময় গত কয়েকদিনের গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
Advertisement
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায়ের ব্যাখ্যা দেয়ার আপনি কে? বলেন, যে কোনো আইনি ব্যাখ্যা শুধু সুপ্রিম কোর্ট দেবে।’ প্রধান বিচারপতি ব্যারিস্টার খোকনকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি তো আমাদের কম্পিটেন্সি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, আপনি চাইলে রিভিউ করতে পারেন। রিভিউ না করে মিডিয়ায় বক্তব্য দেন।’
এসময় আপিল বিভাগ বলেন, আপনার মামলা আজ শুনবো না, যান। নিজের স্বপক্ষে যুক্তি আপিল বিভাগের কাছে তুলে ধরতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, আজ আপনার কোনো মামলা শোনা হবেনা। পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করবেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি বসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। আগের দিন ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে একাদশ সংসদের। তবে এর মধ্যেই শপথ নিয়েছেন দ্বাদশ সংসদের ২৯৯ জন সদস্য। শপথ হয়েছে নতুন মন্ত্রীসভারও। বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তুলেছে, সংসদে এখন ৬০০ জন এমপি।
Advertisement
যদিও গত আগস্টে এক পূর্ণাঙ্গ রায়ে আপিল বিভাগ সাফ জানিয়ে দেন, সংসদ অধিবেশন বসার দিন থেকেই সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শুরু হবে। ওই মামলায় আপিল বিভাগে লড়েছিলেন ব্যারিস্টার খোকন। তার দাবি, আপিল বিভাগের রায়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। সেই সঙ্গে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন করে শপথের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, আইন অনুযায়ী অস্পষ্টতা আছে। উনারা বলেছেন, শেষ কনক্লুশন এটা ফিকশন। তারা প্রকৃতপক্ষে দায়িত্ব নেয়নি। কিন্তু আবার দায়িত্বও নিয়ে নিয়েছেন। আর্টিকেল ১৪৮, সাব-আর্টিকেল ৩ দেখলেই এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যেই পার্লামেন্ট শপথ নিয়েছে এটা সঠিকভাবে নেয়নি। সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে। মন্ত্রীসভা যে গঠন করা হয়েছে, সেটাও সংবিধান লঙ্ঘন করে করা হয়েছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে বিধি হলো একটা গ্যাজেট করে শপথটা বাতিল করতে হবে। নতুন করে আবার ২৯ তারিখের পর শপথ নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মন্ত্রীসভা ভেঙে দিতে হবে। যদি তারা চায় আবার পরবর্তীতে কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারে।