রাজধানীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ অস্ত্র কারবারি গ্রেপ্তার (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ অস্ত্র কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড ও যাত্রাবাড়ী থানার কাজীরগাঁও এলাকার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।

Advertisement

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আলমগীর হোসেন (৩৮), সৈয়দ মিলন (৪০) ও শেখ জিয়াউর রহমান জিয়া (৪২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা লালমনিরহাটের সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে জিয়ার মাধ্যমে অস্ত্র সরবরাহ করতেন। জিয়া মিডিয়া ম্যানের কাজ করতেন।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, আলমগীর ও মিলন লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র আনতেন। এরপর এসব অস্ত্র জিয়ার কাছে বুঝিয়ে দিতেন। পরে জিয়া বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে অস্ত্র বিক্রি করতেন।

Advertisement

তিনি আরও জানান, আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রতিটি টিম নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অস্ত্র বিক্রেতারা অবস্থান করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে দুই স্থানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মিলন এক সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। তার নামে ৯টি মামলা রয়েছে। একাধিকবার জেলও খেটেছেন। সুতরাং আমাদের চোখে তিনি একজন সন্ত্রাসী। ছাত্রলীগ করলেও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া নির্বাচনে আগে এই সময়ে তারা কতটি অস্ত্র বিক্রি করেছে সেটিও আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত থেকে আনা এসব অস্ত্র বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতেন তারা। এছাড়া অস্ত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতেন। নির্বাচনে প্রতিপক্ষের প্রার্থীকে ভয় দেখানো ও সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হতো। এমনকি তারা প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি দিতেন। জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে, আর কতগুলো অস্ত্র এভাবে কার কার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া তারা কোন কোন প্রার্থীকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন সেটি আমরা তদন্তের মাধ্যমে বের করবো।