রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
গত ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী এই মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাজির হতে সমন জারি করেন।
আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতের আদেশের পরদিন প্রসেস সার্ভেয়ার জাবিদ হোসেন খালেদা জিয়ার প্রতি সমন জারি করতে যান। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে কেউ সমন গ্রহণ করতে রাজি হননি। পরে বাসার ফটকে সমন জারির নোটিশ সাঁটানো হয়।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সারাদেশে তুমুল বিতর্ক উঠে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।
এরপর ২৩ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে দেশদ্রোহী মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান তিনি।
আবেদন পর্যালোচনা করে গত ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে ২৩ জানুয়ারি মামলার করার অনুমোদনের চিঠি হাতে পেয়ে ২৫ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে মামলা করলেন মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। ওই দিন শুনানিতে বাদীপক্ষ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান।
বাদীপক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনসহ অন্য আইনজীবীরা। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালেদা জিয়াকে ৩ মার্চ আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন (সিএমএম কোর্ট) আদালত।