আসন ভাগাভাগি শেষ, সোমবার থেকে প্রচার শুরু

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ : ভোটের ৫৩ দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরপর একে একে হয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার কার্যক্রম।

Advertisement

সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পালা। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন। তারপর থেকেই শুরু হবে ভোটের প্রচারণা।

দিনভর নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে ভোটের মাঠে জোট এবং আসন সমঝোতার বিষয়টি রোববার চূড়ান্ত  হয়। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি দিনের প্রথম ভাগে আসন ছাড় আর সমঝোতার বিষয়টি বললেও কত সংখ্যক আসন নিয়ে কথা হয়েছে তা নিশ্চিত করছিলো না কেউই।

বিকেলে নির্বাচন কমিশনে জোটের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে অবহিত করতে নির্বাচন কমিশনে যান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। পরে তিনি সাংবাদিকদের আসন ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। প্রতীক পেয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন তারা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারের কাজ করতে পারবেন প্রার্থীরা।

শরিকদের জন্য ৩২ টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ২৬টি জাতীয় পার্টিকে আর ছয়টি আসন, ১৪ দলের শরিক জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় পার্টি-জেপিকে ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

জাতীয় পার্টিকে যেসব আসন ছেড়ে দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো, ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী- ৩ ও ৪ , রংপুর-১ ও ৩, এছাড়া কুড়িগ্রাম ১ ও ২, গাইবান্ধা-১ এবং ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩ পিরোজপুর-৩ আসনও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

একইসাথে ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরাগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮সহ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনও পেয়েছে জাতীয় পার্টি।

১৪ দলের শরিক জাসদকে তিনটি , ওয়াকার্স পার্টিকে দুটি আর আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপি পার্টিকে একটি আসন দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এর আগে জাতীয় পার্টি ২৮৩ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা ইস্যুতে দিনভর হৈচৈ এ মুখর ছিলো বনানী জাতীয় পার্টি কার্যালয়। সকাল থেকেই দলের নেতা কর্মীরা নির্বাচনে আসন বাড়ানোর দাবি নিয়ে সরব ছিলেন। এরপর আইনশৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়।

সকালেই কার্যালয়ে উপস্থিত হোন দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তার আগে ও পরে আসেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হকসহ অন্য নেতা- কর্মীরা। দ্বিতীয় দফায় সাংবাদিকদের মহাসচিব বলেন,নির্বাচন ভালোভাবে করতে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করছে। কমিশনের এমন আশ্বাসে জাতীয় পার্টি জোটে নয়, ভোটে অংশ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীর ১৪ দলে শরিক জাসদ জানিয়েছে তাদের ৬৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ৬৩ জন দলীয় প্রতীক মশাল নিয়ে এবং তিন জন ১৪ দলীয় অভিন্ন একক প্রার্থী হিসাবে নৌকা নিয়ে ভোটের মাঠে নামবেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগের আহ্বায়ক মোস্তফা আলমগীর রতন জানিয়েছেন, দলীয় প্রতীক হাতুড়ি নিয়ে তাদের ২০ জনের মতো প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকবেন। আর ১৪ দলের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন দুইজন। তারা হলেন দলের সভাপতি রামেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।

গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। রোববার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি। ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি জানান রাষ্ট্রপ্রধান।

রাষ্ট্রপতি ভোটের মাঠে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে বলে বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানিয়েছেন। এদিকে ভোট থেকে নিজেদের প্রার্থী তুলে নিয়েছে জাকের পার্টি।

প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে মানতে হবে নিয়ম কানুন

সংসদ নির্বাচনে কী করা যাবে, কী করা যাবে না তা নিয়ে আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসি। সাংবিধানিক সংস্থাটির ওয়েবসাইটে সংসদ নির্বাচন আইনের ১০ নং ক্রমিকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী বিধিনিষেধ সম্পর্কে বলা হয়েছে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য ব্যক্তিকে বিধি ৬ থেকে বিধি ১৪ এর বিধানগুলো মানতে হবে।

Advertisement