মৃত্যুর আগে খুনিদের নাম বলে গেলেন যুবলীগ নেতা, ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামের (৩৮) একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে হামলায় জড়িত কয়েকজনের নাম বলতে শোনা যায় তাকে।

Advertisement

নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের ছামু মিয়া (৩২), পূর্ব শিবরাম গ্রামের মিজানুর রহমান (৩০), একই গ্রামের মোশাররফ হোসেন (২৫), মধ্য শিবরাম গ্রামের আবদুস সাত্তার মিয়া (৬৪) ও শিবরাম গ্রামের এছমোতারা বেগম (৩৫)।

মৃত্যুর আগে যুবলীগ নেতা জাহিদুলকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনের নাম বলেন তিনি। ওইসময় ধারণ করা ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘মুছা, ছামু, ইমতিয়াজ, মুছা কারিমুল্লার ছেলে খাদেমুলসহ সাত-আটজন হঠাৎ করে পথরোধ করে ছুরিকাঘাত করে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।’

কেন ছুরিকাঘাত করা হয়েছে জানতে চাইলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি, আর ওরা বিএনপি-জামায়াত করে। সেজন্য তারা আমাকে এ কাজ করছে।’

Advertisement

রোববার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল ও কবির মিয়া নামের একজন মোটরসাইকেলে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জন তাদের গতিরোধ করে হামলা চালান। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা জাহিদুলকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত হামলায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেলে মারা গেছেন জাহিদুল। আমরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

Advertisement

সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি জানান, ‘হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করেছি। যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম মারা যাওয়ার আগে কয়েকজনের নাম বলেছেন। এদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

(নিহত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম)