ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা,সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩ : স্বল্প সম্পত্তির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত, মানসম্মত আবাসন সুবিধা এবং গৃহায়ন সংকট নিরসনে দেশজুড়ে ভবন ও প্লট তৈরি করছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। যদিও নিয়ম-নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনৈতিকভাবে ফ্ল্যাট বা প্লট বরাদ্দ পাচ্ছেন অনেকেই।
Advertisement
গৃহায়ণের সিন্ডিকেটের যোগসাজসে মিরপুরে শিশু পার্কের জায়গা গিলে ফেলা হচ্ছে। রাজধানীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বসবাসের চাহিদা মেটাতে মিরপুরে গত দুই দশকে গড়ে উঠেছে বহু ভবন। কম খরচে আবাসন সুবিধা পেতে মধ্যবিত্তদের অনেকেই বেছে নেন এই অঞ্চল।
বৃহৎ পরিকল্পনায় মিরপুরে আবাসনের পাশাপাশি, খেলার মাঠ, উদ্যান ও শিশু পার্কের ব্যবস্থাও রাখা হয়।
Advertisement
১৩ নম্বর সেকশনের বি-ব্লকের প্রায় ৩ বিঘার এই জায়গাটিতেও শিশু পার্ক হিসেবে চিহ্নিত ছিলো। জমির মূল্য আনুমানিক ৮০ কোটি টাকা।
তথ্য বলছে, ১৯৬৮ সালের নথি অনুযায়ী চিহ্নিত শিশুপার্কটি ১৯৯৪ সালে নকশাভুক্ত করে তৎকালীন গৃহসংস্থান অধিদপ্তর। পার্ক করার জন্য সিটি করপোরেশনকে বরাদ্দ দেয়া হয় ১৯৯৯ সালে। ২৪ বছর পেরিয়ে গেছে শিশু পার্কের নাম গন্ধ নেই, উল্টো গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। অনেকেই আবার বনে গেছেন সরকারি জমির মালিক।
Advertisement
সরকারি জমির দেখভালের দায়িত্ব যাদের সেই গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উদাসীন ভূমিকায় শিশু পার্কের স্বপ্ন অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে। উল্টো প্লট বরাদ্দ দেয়ার তথ্যও রয়েছে।
জানা যায়, সিটি করপোরেশনকে পার্ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়ার দুই বছরের মাথায় তা বাতিল করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। জায়গাটিকে আবাসন শ্রেণিতে দেখিয়ে এ পর্যন্ত ১৯টি প্লট বরাদ্দ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু সেটি করতে গিয়েও আশ্রয় নেয়া হয় ছলচাতুরীর।