প্রখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমাকে গ্রেপ্তার দেখালো পুলিশ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাজশাহী প্রতিনিধি,শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩ : জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগানদাতার অভিযোগে রাজশাহীর গাইনী, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার এন্ড হাসপাতালের মালিক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৭টার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশ বড়বনগ্রাম এলাকার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে।

Advertisement

এর আগে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বিশেষ শাখা (ডিবি) ও শাহ মখদুম থানার একদল পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকে। এরপর সন্ধ্যায় ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নেয়া হয়। এ সময় অভিযানের অংশ নেয়া পুলিশ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।

ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার বাড়িতে অভিযানে যাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাড়িটিতে জামায়াতের বেশকিছু নেতাকর্মীর গোপন বৈঠকের খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ি থেকে মোবাইল ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই চিকিৎসককে থানায় নেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র ও নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ডা. ফাতেমার সিদ্দিকাকে আটক করা হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

Advertisement

রাজশাহী মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, এইমাত্র খবর পেলাম ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশ নিয়ে গেছে। কেনো নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারবো না। তিনি আমাদের একজন সুধী। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন।

রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের নামডাক রয়েছে তাদের মধ্যে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারলান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে। গত ৪ এপ্রিল এই চিকিৎসকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন।

Advertisement

গত ৭ সেপ্টেম্বর ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এ সময় বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমা সিদ্দিকার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়িটি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়।