ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,রোববার, ২২ অক্টোবর ২০২৩ : র্যাব পরিচয়ে দিনে দুপুরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
Advertisement
শনিবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর ও পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সবুজ মিয়া শ্যামল (৩৯), মো. সাহারুল ইসলাম সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার ওরফে দিদার মুন্সী (৩৫), মো. ফেরদৌস ওয়াহীদ (৩৫), মো. আলামিন দুয়ারী ওলফে দিপু (৪২) ও মো. দাউদ হোসেন মোল্যা (৩৯)। এসময় তাদের কাছ থেকে
ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার, র্যাব লেখা জ্যাকেট, হাতকড়া, খেলনা পিস্তল, ওয়্যাররলেস সেট, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার এবং ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২২ অক্টোবর) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গেল ১০ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র্যাব পরিচয়ে ওই ডাকাতি হয়। সেদিন কোম্পানির গাড়ি নিয়ে উত্তরার আল আরাফা ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন ‘মাদার টেক্সটাইল’ নামের একটি কোম্পানির হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা অনিমেষ চন্দ্র সাহা এবং তার এক সহকর্মী মো. শাহজাহান মিয়া।
টাকা তোলার পর ব্যাংকেই একজনকে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন অনিমেষ। এরপর বাকি ৪৮ লাখ টাকা নিয়ে বনানীর বাসায় ফিরছিলেন তিনি।
Advertisement
তিনি বলেন, কাওলা থেকে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পর বিকেল ৪টার দিকে মেরুন রঙের একটি প্রাইভেট কার অনিমেষদের গাড়ির পাশ কাটিয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়। ওই গাড়ি থেকে র্যাব লেখা জ্যাকেট পরা ৫ থেকে ৬ জন বেরিয়ে আসেন। অনিমেষ ও শাহজাহানের কাছে ‘অবৈধ অস্ত্র আছে’ অভিযোগ তুলে তাদের চালকসহ তিনজনকে মেরুন গাড়িতে তুলে নিয়ে হাতকড়া পরানো হয় এবং চোখও বেঁধে ফেলা হয়।
তিনি আরও বলেন, অনিমেষদের বর্ণনা অনুযায়ী গাড়িটি ২৫ মিনিট বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে পরে ৩০০ ফুট রাস্তার বোয়ালিয়া ব্রিজের উপরে তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই সময় অনিমেষের কাছে থাকা ৪৮ লাখ টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।
ওই ঘটনার পর রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন অনিমেষ। মামলার পর তদন্তে নামে পুলিশ, অবশেষে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় সাতজনকে।
Advertisement
গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের ১৫ জেলায় মামলা রয়েছে। তারা এর আগেও ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন, কিন্তু জামিনে বেরিয়ে ফের ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়েছেন।