গাজা নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাল ইসরায়েল (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,রোববার, ২২ অক্টোবর ২০২৩ : গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এরই মধ্যে তিন ধাপের যুদ্ধ পরিকল্পনাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এই তিন ধাপ যুদ্ধের উদ্দেশ্য গাজায় একটি ‘নতুন নিরাপত্তা শাসনব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটির সভায় শুক্রবার (২০ অক্টোবর) তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান। দেশটি সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইসরায়েলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইয়োভ গ্যালান্ত জানিয়েছেন, গাজায় হামাসের সরকার ব্যবস্থা, সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে তিন ধাপে যুদ্ধ পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে দিয়ে হামাসকে নির্মূল করা হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধের যে বর্তমান ও প্রথম ধাপ চলছে, সেখানে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও তাদের অবকাঠামোকে ধ্বংস করা হবে।

তিনি আরও জানান, পরবর্তী ধাপগুলো কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসে শেষ হয়ে যাবে এমনটা ভাবা যাবে না। তবে এই তিন ধাপ যুদ্ধের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো- ‘এই অঞ্চলে (গাজায়) একটি নতুন নিরাপত্তা শাসনব্যবস্থা গঠন করে গাজার ওপর ইসরায়েলের দায়বদ্ধতা অপসারণ করা।’

গ্যালান্ত বলেন, ‘গাজায় সামরিক অভিযান ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতা প্রতিস্থাপন করবে।’

Advertisement

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী। আসন্ন স্থল অভিযানের লক্ষ্যে আরও সুযোগ তৈরি করতে ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা চালাবে বলে জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, রোববার (২২ অক্টোবর) থেকেই এই হামলা শুরু হবে।

এ বিষয়ে ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হ্যাগারি শিগগিরই হামলা শুরু হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনারা (ফিলিস্তিনিরা) গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যান। আমরা গাজা শহরে আক্রমণ চালাতেই থাকব এবং এই আক্রমণ ক্রমেই বাড়বে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের হামলায় গাজার হাজার হাজার সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১০ লাখ নাগরিক।

Advertisement

হামাসের সেই হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১৪ শ নাগরিক নিহত হয়, আহত হয় আরও অন্তত ৪ হাজার মানুষ। প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনীও গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে। ইসরায়েলি হামলায় গাজা ও পশ্চিম তীরে প্রাণহানি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।