ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নোয়াখালীর হাতিয়া প্রতিনিধি,শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩ : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় বাবা-ছেলেসহ ১৬ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
এদিকে বাদিনী থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ দিলেও পুলিশ ধর্ষণের ধারায় মামলা রুজু করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আসামিরা।
Advertisement
বুধবার (৩ আগস্ট) ওই এলাকায় গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমাম হেসেন রিমন জাগো নিউজকে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীর (৩০) সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী আয়াত উল্যাহর (৩৫) দীর্ঘদিন অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। এনিয়ে অনেকবার তাদের সতর্ক করেও ওই পথ থেকে সরানো যায়নি। দুজনের মোবাইলে ধারণ করা অসংলগ্ন অডিও রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই (রোববার) রাত ১০টায় গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে আয়াত উল্যাহকে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। এসময় আয়াত উল্যাহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখলে খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ২৪ জুলাই প্রবাসীর স্ত্রী আয়াত উল্যাহকে সাক্ষী করে ১৬ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলায় আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামের একজনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তার ছেলে মো. তাহমিদকে (২৫) ৪ নম্বর আসামি করা হয়। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সাবেক এনজিওকর্মী মো. ছায়েদুল হককে (৬৩) ৩ নম্বর আসামিসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
Advertisement
মামলায় বাদিনীর অভিযোগ, তার স্বামী বিদেশে থাকেন। সম্পত্তি বিরোধের জেরে আসামিরা ১৭ জুলাই রাতে হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে আসামিদের সহযোগিতায় মো. ছায়েদুল হক তাকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এসময় স্বর্ণের চেইনসহ এক লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল লুট করে।
মো. ছায়েদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ওই নারীর ঘরে আয়াতকে আটকের পর তাকে ছাড়িয়ে আনতে আয়াতের বড় ভাই এসে আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে অনেক লোকজন উপস্থিত ছিল। আয়াতসহ অভিযুক্ত দুজনকে অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু এক সপ্তাহ পর ধর্ষণ মামলায় আমিসহ অনেককে আসামি করা হয়। ওই মামলায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আয়াতকে সাক্ষী করা হয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিকারের দাবি জানাই।
বুধবার উত্তর রোহানিয়া গ্রামে গিয়ে ওই নারীর ঘরে তালা লাগানো পাওয়া যায়। স্থানীয়রা বলেন, ঘটনার পর থেকে তিনি মাইজদী ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করছেন। তার মোবাইলে বার বার ফোন করেও বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত আয়াত উল্যাহকে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন বন্ধ করে দেন।
Advertisement
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। নারীর ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের মামলায় ধর্ষণের ধারা কেন? জানতে চাইলে ওসি বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে ধারা পরিবর্তন করা হবে।