শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে : ভারতের স্পিকার

SHARE

5028বাংলাদেশে সফররত ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। এখন তার সুফল ভোগ করছেন তারা।

শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও ‘সাউথ এশিয়ান স্পিকারর্স সামিট ২০১৬’উদ্বোধনী দিনে একথা বলেন তিনি। দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ এবং শ্রীলংকার স্পিকারদের নিয়ে এ সম্মেলন হচ্ছে। তবে শ্রীংলাকার ডেপুটি স্পিকার পথে থাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।  আর পাকিস্তান ও নেপালের স্পিকারদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা যোগ দেননি।
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) আয়োজিত এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় এই সম্মেলন হচ্ছে।

এ সময় সুমিত্রা মহাজন আরো বলেন, আইপিইউ এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) মত দুটি পদের প্রধান বাংলাদেশে দুজন এমপি। এটি সত্যিই গর্বের বিষয়। বাংলাদেশে যে উন্নয়ন করছে এটি তার প্রমাণ। তিনি এসময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ছোটবোন সম্বোধন করে বলেন, তিনি সিপিএ’র নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ায় অভিবাদন জানাই। এছাড়া সাবের হোসেন চৌধুরী ভাইকেও অভিবাদন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো খুবই জনবহুল । এজন্য এসডিজি বাস্তবায়ন করতে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের মত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো শুধু ইতিহাস শেয়ার করে নয়। আমাদের সংস্কৃতি, ভৌগলিক এবং আর্থসামাজিক অবস্থান প্রায় একই। এজন্য আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

আইপিইউয়ের সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী । এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, আফগানিস্তানের স্পিকার আবদুল রৌফ ইব্রাহিমি, ভুটানের স্পিকার জিগমে জেংপো ও মালদ্বীপের স্পিকার আবদুল্লাহ মশেহ মোহাম্মদ।

দুদিন ব্যাপী এ সম্মেলনের শেষ দিন রোববার। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে।

সম্মেলনের আলোচনায় পাঁচটি বিষয় প্রাধান্য পাবে। এগুলো হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় এসডিজির গুরুত্ব, এসডিজি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনায় পার্লামেন্টগুলোর ভূমিকা, এসডিজির স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি সংক্রান্ত গোল-৩ এর অধীন সুযোগসমূহ, তামাক মহামারির বর্তমান অবস্থা ও নিয়ন্ত্রণে কৌশল নির্ধারণ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় নীতিকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।