শর্তসাপেক্ষে সংলাপে রাজি: ফখরুল (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩ : নির্বাচনকালীন সরকার কিভাবে গঠন হবে, সে বিষয়ে যদি সংলাপ হয়, তা নিয়ে সরকারি দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Advertisement

তিনি বলেছেন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সরকার মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলেই কেবল সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসা যেতে পারে। এছাড়া সরকারের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয়ে সংলাপ হবে না।

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল। গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে, অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকার দেশকে সাংঘর্ষিক অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা তাদের সতর্ক করে বলতে চাই, ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন দেশে আর কোনদিন হবে না।

Advertisement

‘বিএনপি সমঝোতার পথ বন্ধ করেছে’ বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের কাছে যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটা সর্বাংশে মিথ্যা বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ওবায়দুল কাদের যা বলেছেন, তা বাজে কথা। এটা যে কত বড় মিথ্যা কথা, আপনারা সেটা ভালো করেই জানেন। আমরা বরাবরই বলে এসেছি, একটা বিষয় আলোচনা হতে পারে, অন্য কোনো বিষয় না—সেটা হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে।

তবে, এই সংলাপে বসার ক্ষেত্রে শর্তও দেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অবশ্যই সরকারকে আগে ঘোষণা দিতে হবে যে, তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না। তারপর কিভাবে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা হতে পারে, তা নিয়ে কথা বলা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা এসেছেন এখানে ইলেকশন অবজারভার পাঠাবে কি পাঠাবে না, সেটা দেখার জন্য। এখানে নির্বাচনের পরিস্থিতি আছে কি না, সেটা দেখতে এসেছে। তারা খুব পরিষ্কার কোনো মতামত দেয়নি। আমরা মতামত জানিয়ে দিয়েছি—যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, এ অবস্থায় কোনো নির্বাচন হতে পারে না। সি মাস্ট রিজাইন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা না দেওয়া ছাড়া এখানে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জ কমিটির আহ্বায়ক ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউস, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বর্তমান সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, ঢাকা উত্তরের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান মোসাব্বিরসহ বন্দি নেতারা হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পরেও তাদেরকে আবার নতুন করে ‘গায়েবি’ মামলায় আসামি দেখিয়ে জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।

Advertisement

কারাগারে বন্দি বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন এবং তাদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে গেলে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।