ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ প্রতিনিধি, রোববার,০৮ অক্টোবর ২০২৩ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাইনুল হাসান তুষার।
Advertisement
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তুষার। দলীয় নির্দেশ পেয়েই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলেই গণমাধ্যমকে জানান তিনি।
তুষার বলেন, আজ (শনিবার) সকালে আওয়ামী লীগ অফিস থেকে ফোন করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। কল পেয়েই আমি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি এবং আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। আমার বাবার জীবনের শেষ সময়ে তিনি তাকে মূল্যায়ন করেছেন এবং সম্মান দিয়েছেন। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য আমাকে সুযোগ দেবেন।
আসনটিতে (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১১ অক্টোবর, মনোনয়ন বাছাই ১২ অক্টোবর, প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর এবং ভোট গ্রহণ হবে ৫ নভেম্বর।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
Advertisement
১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করা উকিল আব্দুস সাত্তার বিএনপি করতেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন। ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাও।
এ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন উকিল আব্দুস সাত্তার। ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আইন, মৎস্য, ভূমি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ছিলেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরে সংসদ থেকে তিনিসহ বিএনপির সাতজন এমপি পদত্যাগ করেন। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন আব্দুস সাত্তার। সেই নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি। এরপর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।