Advertisement
রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘চা দোকানি’ সাজ্জাদ। গত ২ অক্টোবরের আতঙ্কের ছাপ এখনও তার চোখে মুখে। জানান সে দিনের ঘটনা। সাজ্জাদ জানান, তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তখন আমি আর না পেরে ডান হাত দিয়ে একটা কোপ আটকাতে গেলে আমার ডান হাতের কবজি আলগা হয়ে যায়।
একই ঘটনার আরেক ভুক্তভোগী ঠিকাদার রুহুল আমিন। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ২ লাখ টাকা। চাপাতি দিয়ে হাতের কবজি কেটে টিকটক করে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করাই গ্যাংটির লক্ষ্য।
ঠিকাদার রুহুল আমিন জানান, তারা আমার কাছে এসেই আমাকে একটা কোপ দিয়ে আমার হাতে থাকা ব্যাগটা ছিনিয়ে নেয় এবং ব্যাগে থাকা টাকাগুলো নিয়ে যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা আমার সহযোগী তাদের একজনকে ধাক্কা দিলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
Advertisement
গ্যাং এর নেতৃত্ব থাকা শ্যুটার আনোয়ার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। এরইমধ্যে গ্যাংটির অন্যতম সদস্য ইউনুসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের দু’-একজন গ্রেপ্তার হলেও অন্যরা ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন জানান, থানা পুলিশের গাফিলতি পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা। এছাড়া থানা পুলিশ ব্যর্থ হলে সেখানে ডিবি পুলিশ কাজ করবে। তারপরেও সেক্ষেত্রে যদি কারো গফলতি পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলছেন, সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অধরাই থাকছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শখ্যতাও ছাড় পাওয়ার বড় কারণ।
সদিচ্ছা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব বলে মনে করেন এই অপরাধ বিশেষজ্ঞ।