Advertisement
ওবায়দুল কাদের বলেন, মজার ব্যাপার হচ্ছে— নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। অদ্ভুত কাণ্ড। আমার নির্বাচন আমি করবো, তুমি বলার কে?
তিনি বলেন, জো বাইডেন আজকেও বলেছেন, গণতন্ত্র হুমকির মুখে। ট্রাম্পকে সামলাতে পারে না আর বাংলাদেশেকে ধমক দেয়। ওয়াশিংটন হিলে ৬ জানুয়ারি ৬টি প্রাণ ঝরলো, এ কেমন গণতন্ত্র? আপনাদের দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এমন দিন নেই, যেদিন যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। তাহলে আমাদের ভয় দেখান কেন? আবার দালাল লাগিয়েছেন ফখরুলকে।
Advertisement
বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের ৪৮ ঘণ্টা শেষ। আলটিমেটাম শেষ। খেলা হবে। ক্যাপ্টেন আমেরিকায়, তিনি এলে জোরদার খেলা হবে। আমাদের নির্বাচন আমাদের সংবিধান নির্ধারণ করবে। আমরা কীভাবে চলবো, আমরাই ঠিক করবো। আমরা তত্ত্বাবধায়ক মানি না। ওটা মরা লাশ। ওটা আমাদের কাছে এনে লাভ নেই। ২০০১ সালে দেখিছি, ফখরুদ্দীন-মঈন উদ্দিনেরটাও দেখেছি। সেই তত্ত্বাবধায়ক চালু করে বাংলাদেশে অস্বাভাবিক সরকার করবেন, সেটা আর হবে না।
তিনি বলেন, অনুমতি নেবেন না। আইন মানবেন না। জনগণ যখন ধাওয়া দেবে, কর্ণফুলী গিয়ে পড়বেন। আগুন নিয়ে আসবেন, নাশকতা করবেন? নাশকতার কালো হাত ভেঙে দেবো। মাঠ ছাড়বো না। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো।
Advertisement
সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।