দাফনের ৫ দিন পর গৃহবধূকে জীবিত উদ্ধার (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ফরিদপুর প্রতিনিধি ,বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : ফরিদপুরের সদরপুর থেকে হাসি বেগম নামে এক গৃহবধূ গত ৭ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলায় পাওয়া এক নারীর অর্ধগলিত লাশ হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করেন তার মা। পরে হাসি বেগমের পরিবার লাশটি দাফন করে। দাফনের পাঁচ দিন পর হাসি বেগমকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে উদ্ধার করে সদরপুরে আনা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৮ বছর আগে সদরপুর উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মোতালেব শেখের সঙ্গে হাসি বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সাত বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের কথা বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় হাসি বেগমের বাবা শেখ হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় অভিযোগ করেন। জামাই মোতালেব শেখ তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর হাসি বেগমের স্বামী মোতালেব শেখ সদরপুর থানায় পাল্টা অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, হাসি বেগম নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে গেছেন।

Advertisement

গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার নাউটানা এলাকার কচুরিপানার ভেতর থেকে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিখোঁজ হাসি বেগমের মা সালমা বেগম মরদেহ হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করেন। এরপর ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে ওই লাশ দাফন করে হাসি বেগমের পরিবার।

এদিকে, ২৩ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম ফোন করে তার বাবা-মাকে জানান তিনি জীবিত আছেন। গতকাল সোমবার পুলিশ হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে উদ্ধার করে।

Advertisement

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি থানায় রয়েছেন। এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। ঘটনার সঙ্গে ভাঙ্গা ও সদরপুর থানা জড়িত। ফলে সব তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।

হাসি বেগম