অভিযানের খবরে দোকান ফেলে উধাও ব্যবসায়ীরা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না আলু-পেঁয়াজের দাম। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অভিযানের পরও কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা আলুর দাম কমাচ্ছেন না। একইভাবে আড়ত পর্যায়ে কমেনি পেঁয়াজের দামও। তাই খুচরা বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে এই দুই পণ্য। আর ভোক্তা অধিকারের অভিযানের খবর পেলেই পালিয়ে যাচ্ছেন দোকানিরা।

Advertisement

সোমবারও রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলে। তবে অভিযান শুরুর আগেই দোকান ফেলে উধাও ব্যবসায়ীরা। এদিক ওদিক খোঁজাখুজি করেও কোন হদিস মিলছিলো না দোকানিদের। পরে ডেকে আনা হয় দোকানের কর্মীদের। মূল্যতালিকা হালনাগাদ না করায় একটি দোকানকে ১০ হাজার টাকার জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার।

পেঁয়াজ, ডিম, আলুসহ নিত্য পণ্যের বাজার লাগামহীন। সেই লাগাম টেনে ধরতেই সরকার প্রথমবারের মতো দেশী পেঁয়াজ ৬৫, আলু ৩৬, ডিম ১২ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। পাইকারি কিংবা খুচরা ব্যবসায়ী কেউ মানছে না নির্ধারিত নতুন দাম। এ যেন, কাজীর গরু গোয়ালে নেই, আছে কাগজে কলমে।

কারওয়ানবাজারে প্রতি কেজি ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। পাবনার পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, ভোক্তা অধিকারের একের পর এক হুশিয়ারির পরও উৎপাদক পর্যায় দাম কমেনি। একই অভিযোগ আলুর ব্যবসায়িদেরও। হিমাগার থেকে আলুর দাম কমানো হচ্ছে না। বরং সরকারের বেঁধে দেয়া দামের কথা বলা হলে পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে কিছু হিমাগার মালিক।

Advertisement

ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে আলু পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ আছে। প্রয়োজনে সরকারী ভাবে হিমাগারের আলু বিক্রি করে উৎপাদকদের দাম বুঝিয়ে দেবে।

বগুড়ার খুচরা বাজারে দেশী পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় ৬৫ টাকা, আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও হালি এখনো ৫০ টাকার উপরে। কমেনি সয়াবিন তেলের দামও।

এদিকে, ডিম আমদানির খবরের প্রভাব এখনো পাইকারি বাজারে পড়েনি। ব্যবসায়িরা জানান উৎপাদক পর্যায়ে এখনো ডিমের দাম ১১ টাকা থেকে সাড়ে ১১ টাকা।

বাজার পরিস্থিতিতে তেঁতে আছেন শ্রমজীবী আর কম আয়ের মানুষ। তাই বাজার তদারকি করে নতুন দামে পণ্য বিক্রি করতে ব্যবস্থার নেয়ার কথা জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা। বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী উদ্যোগ দেখে স্বস্তিতে ফিরতে চান সাধারণ মানুষ।

Advertisement