ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি ,শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে আবদুল কুদ্দুস (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী সুরমা আক্তার আছিয়া (৪০) ও তার প্রেমিক ইসমাইলকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিদ্যুতের তার, পাসপোর্ট ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, রসুলপুর ইউনিয়নের রফিকপুর গ্রামের খলিল মিয়ার নতুন বাড়ির আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী সুরমা আক্তার আছিয়া ও তার প্রেমিক লতিফপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে ইসমাইল হোসেন।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে নিজের বসত ঘরের বিছানায় বিদ্যুতের তারে জড়ানো অবস্থায় আবদুল কুদ্দুসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের দুই পায়ে বিদ্যুতের তার পেঁচানো ছিল। ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনকভাবে নিহতের স্ত্রী সুরমা আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
Advertisement
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে, তাদের পাশের গ্রামের টাইলস মিস্ত্রি ইসমাইল তাদের বসত ঘরে টাইলসের কাজ করে। সে সুবাদে তাদের দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে ইসমাইল বিদেশে গেলে তাদের মধ্যে মোবাইলে আরও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। চলতি মাসের ৬ তারিখ দেশে এলেও কাউকে না জানিয়ে সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে তার এক দুঃসম্পর্কের খালার বাড়িতে উঠে ইসমাইল। ওই বাড়ি থেকে কুদ্দুসের স্ত্রী সুরমার সঙ্গে যোগাযোগ করে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ৯দিকে ভিকটিম কুদ্দুসদের বাসার ছাদে অবস্থান করে ইসমাইল। পরে সুরমার সহায়তায় ঘুমন্ত কুদ্দুসের পায়ে পেঁচিয়ে সুইচের কানেকশন দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কুদ্দুস মারা যায়। কিন্তু ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে সুরমা ডাকাত এসেছে বলে চিৎকার করে এবং তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে সবাইকে জানায়।
Advertisement
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সুরমার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বৃহস্পতিবার ভোরে সেনবাগে মোহাম্মদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়। ইসমাইল জানিয়েছে, বুধবার সে আবুধাবি যাবার জন্য বিমানের টিকেট কাটে এবং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ফ্লাইট ছিল। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আরিফ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামিদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে সেই মামলায় সুরমা ও ইসমাইলকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।