এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যুগে বাংলাদেশ, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

SHARE

 

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা  প্রতিনিধি,শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩চালু হলো দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১১ কিলোমিটারের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন।

বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে প্রধানমন্ত্রী কাওলার র‌্যাম্পে যান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

বোতাম টিপে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান। পরে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। পরে সেখানে বর্ণিল ডে ফায়ারওয়ার্কসের প্রদর্শনী হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীকে এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।

কাওলায় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সরকারপ্রধানের গাড়িবহর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত যায়। এর আগে নির্ধারিত টোল দিয়ে গাড়িতে ওঠেন সরকারপ্রধান।

Elevated-Expresswayপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ের ফলক উন্মোচন করেন। ইমেজ: একাত্তর

 রোববার সকাল ৬টা থেকে সাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে এ উড়াল পথ। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পথে মাত্র দশ মিনিটে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়া-আসা করা যাবে।

Advertisement

শুক্রবার সুধী সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, উড়াল মহাসড়কের একাংশ চালুতে রাজধানীর যানজট কিছুটা হলেও কমে আসবে।

উড়ালসড়কের যেসব স্থান দিয়ে ওঠানামা করা যাবে, তা গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে সেতু বিভাগ। উত্তর দিক থেকে কাওলা, প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কে আর্মি গলফ ক্লাবের সামনে -এই তিন জায়গা দিয়ে উড়ালসড়কে ওঠা যাবে। নামার স্থানগুলো হচ্ছে বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে, ফার্মগেটে ইন্দিরা রোডের পাশে।

দক্ষিণ দিক থেকে ওঠা যাবে বিজয় সরণি উড়ালসড়কের উত্তর ও দক্ষিণ লেন দিয়ে এবং বনানী রেলস্টেশনের সামনে থেকে। দক্ষিণ দিক থেকে উঠে নামা যাবে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে,

Advertisement

বনানী কামাল আতাতুর্ক সড়কের সামনে বিমানবন্দর সড়কে, কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে।

সেতু বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উড়ালসড়কে যানবাহন থেকে নেমে ছবি তোলা নিষেধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ২ এবং ৩ চাকার যানবাহন এবং পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপর যে কোন ধরনের যানবাহন দাঁড়াতে পারবে না। এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং উঠানামার র‌্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ৪০ কিলোমিটার রাখতে হবে।

এয়ারপোর্ট থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারের দৈর্ঘ্যের এই উড়াল পথ। ওঠা ও নামার জন্য আরও প্রায় ২৮ কিলোমিটারের র‌্যাম্প। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার পথ। যার মধ্যে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে থাকছে সাড়ে ১১ কিলোমিটার পথ। যা উন্মুক্ত হলো শনিবার।

Advertisement

দেশের প্রথম এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। প্রথমে এর খরচ ধরা হয়েছিলো ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। মাঝের এই বছরগুলোতে কয়েক দফা বেড়ে, এখন হয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।