একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার সরাদেশে হরতাল আহ্বান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। একই সঙ্গে রোববার গায়েবানা জানাজা ও দোয়ার ঘোষণা করেছে দলটি।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে তিনি যে দক্ষতা ও সততার পরিচয় দিয়েছেন তা দেশের জনগণ কখনো ভুলবে না। তিনি ইসলামী আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে দেশের জনগণের কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছিয়ে দেয়ার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করেছেন। বর্তমান স্বৈরাচারী জালেম সরকার এ রকম একজন সৎ, আল্লাহভীরু ও যোগ্য জাতীয় নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করায় জাতি গভীরভাবে শোকাহত ও ক্ষুব্ধ।
তিনি আরও বলেন, মুজাহিদকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মুজাহিদের সঙ্গে যে তামাশা করা হয়েছে এবং মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন বলে যে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে তাতে দেশবাসী ক্ষুব্ধ।
তিনি আরও বলেন, মুজাহিদের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা শেষ সাক্ষাত করে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট দোষ স্বীকার করেননি, ক্ষমা প্রার্থনা করেননি এবং প্রাণভিক্ষাও চাননি।