‘ফারুকীর মাকে গিয়ে বললাম, আপনার ছেলে আমাকে পছন্দ করে’

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ০৬ জুলাই ২০২৩ :জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। দীর্ঘ দিন প্রেম করে ২০১০ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এই জুটি। তারপর কেটে গেছে এক যুগ। এ দম্পতির সংসার আলো করে এসেছে একটি কন্যাসন্তান।

Advertisement

তিশা-ফারুকীর প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দেওয়ার জার্নিটা মোটেও সহজ ছিল না। সেই গল্প শুনিয়েছেন এই দম্পতি। শুরুতে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘তিশার মা হেনরি কিসিঞ্জারের চরিত্র প্লে করতেন। কূটনৈতিকরা যেমন হয় আরকি! তারা সামনে একরকম পেছনে অন্যরকম। আমি যখন তিশাদের বাসায় যেতাম, তখন তিনি আমাকে খুব আদর-যত্ন করতেন, খাওয়াতেন। বাবা-বাবা বলে ডাকতেন। আমি তো ভাবতাম তিনি রাজি। কিন্তু পেছনে তিশার উপরে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করতেন।’

‘তিনি তিশাকে বলতেন, তুমি ফারুকীকে কেন বিয়ে করবা? ছেলের গাড়ি নাই, ডিগ্রি নাই, তারপরও তুমি এটা কি করতেছো? কিন্তু এখন আমার শ্বাশুড়ির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমার শ্বাশুড়িকে রাজি করানোটাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’ বলেন ফারুকী।

Advertisement

তাহলে বিয়েতে কীভাবে রাজি করালেন? এ প্রশ্নের জবাবে ফারুকী বলেন, ‘এটা আমি করিনি, তিশা করিয়েছে।’ এরপর তিশা বলেন, ‘সে (ফারুকী) তার মাকে রাজি করায়নি। তার মাকেও আমি রাজি করিয়েছি। আমি যখন ওকে বললাম, আমার কথা তোমার বাসায় বলো না কেন, আমাকে তোমার বাসায় নিয়ে যাওনা কেন? এ কথা শুনে ও বলে, না না, আরো পরে, আরো পরে। কারণ আমার আগের অভিজ্ঞতা ভালো না।’

একদিন তিশা নিজেই ফারুকীর বাসায় চলে যায়। সেই ঘটনা বর্ণনা করে তিশা বলেন, ‘‘আমি একদিন নিজে থেকেই ওর বাড়িতে চলে যাই। বাড়িতে গিয়ে ওর মাকে বললাম, আপনার ছেলে আমাকে পছন্দ করে, আমাকে গ্রহণ করুন প্লিজ। আমার শ্বাশুড়ি তখন ওকে ফোন দিয়ে বললো, ‘অ্যাক্টিং করে তিশা নামে একটা মেয়ে আছে না, ও তো বাসায় এসে এরকম এরকম বলতেছে। তুই বাসায় আয়।’ আমার আসার কথা শুনে ও বলে তুমি বাসায় এসেছো কেন? আমি বললাম, আপনি তো পরিচয় করিয়ে দেবেন না, তাই নিজে নিজে পরিচিত হতে আসলাম। যাইহোক, আমার শ্বাশুড়ি তখনই রাজি হয়ে যান।’

নিজের মাকে রাজি করানোর ঘটনা বর্ণনা করে তিশা বলেন, ‘আসলে আম্মুর মাথায় ছিল, আমার মেয়ে তো ছোট। সুতরাং সে সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। ওই সময়ে মিডিয়াতে অনেক ভাঙন চলছিল। পাঁচ বছর লেগেছিল আম্মুকে রাজি করাতে। পাঁচ বছর পরে যখন আম্মু বললেন উহ! আর পারা গেলো না। বুঝছি, এই সম্পর্ক ভাঙবে না, যা খুশি কর! আম্মু যেদিন এ কথা বলেন ঠিক তার পরের দিনই আমি বিয়ের ঘোষণা দিয়ে দিই।’

তিশার এসব কথা শেষ হতেই ফারুকী বলেন— ‘আমার শ্বাশুড়ি অপেক্ষা করছিলেন কবে আমাদের সম্পর্ক ভাঙার খবর আসবে তার জন্য।’

Advertisement