চেয়ারম্যানকে হত্যা: এমপিসহ ২০ জনকে মামলায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,বুধবার, ০৫ জুলাই ২০২৩ : নরসিংদীর শিবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশীদ খানকে (৭০) হত‌্যার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ২০ জনের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) চেয়ারম্যানের ছেলে এ আবেদন করেন।

আবেদনে স্থানীয় সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূইয়া মোহন (৬৭), আসাদুজ্জামান (৫৩), জুনায়েদুল হক ভূইয়া (৫৩), ফরহাদ আলম ভূইয়া (৬৪), দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া (৫০), সৈয়দ মাসুদ পারভেজ (৪৮), ফারুক খান (৪৬), সিরাজ মিয়া, বাদল মিয়া (৫৫), আশরাফুল ইসলাম রিপন (৪৫), সুমন (৩৭), আমান উল্লাহ ভূইয়া, রাকিবুল ইসলাম ইরফান, কাউছার মিয়া (২৩), শাহাদত হোসেন (৩৯), সেলিম (৩৭), সজিব মোল্লা (৩২), আরমান পাশা (৪২), শাওন খান (২৩) ও বাবুল মিয়াকে (৫৩) এই হত্যা মামলায় আসামি করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ৬টার দিকে শিবপুর পৌর এলাকার বাজার সড়কে নিজের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ খান। ঘটনার পর তাকে প্রথমে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পিঠে বিদ্ধ দুটি গুলি বের করা হয়।
হামলার ঘটনার দুই দিন পর উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে মো. আমিনুর রশীদ খান তাপস বাদি হয়ে পুটিয়া এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেন।

Advertisement

মামলার আসামিরা হলেন, পুটিয়া ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকার (৪০), পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মো. মহসীন মিয়া (৪২), কামারগাও এলাকার ইরান মোল্লা (৩০), মুনসেফেরচর এলাকার শাকিল (৩৫), কামারগাও এলাকার হুমায়ুন (৩২) ও নরসিংদী শহরের ভেলানগর এলাকার গাড়ি চালক নূর মোহাম্মদ (৪৮)।

পরে চেয়ারম্যানের অবস্থার অবনতি হলে গত ১৩ এপ্রিল উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসা শেষে ২ মে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর হৃদরোগ, প্রস্রাবে ইনফেকশন ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গত ৭ মে তাকে এভারকেয়ারে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ১৯ মে রাত ১০ টার দিকে তার অবস্থার অবনতি হলে ওই হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) নেওয়া হয়। এরপর ৩১ মে বিকাল ৫টার দিকে চিকিৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসব বিষয়ে মামলার বাদী আমীনুর রশীদ খান তাপসের কাছে জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এমপি মোহন কখনও সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি না করে খুনিদের শেল্টার দিয়ে আসছেন।

Advertisement

এ ব্যাপারে এমপি জহিরুল হক ভূঞা মোহনের কাছে জানতে চাইলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে তাপসের এসব অভিযোগ মিথ্যা আখ্যায়িত করে বলেন, মরহুম উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন রশীদ খান ছিলেন আমার পিত্রতুল্য অভিভাবক। তার মৃত্যুতে আমিও আমার অভিভাবক হারিয়ে ব্যথিত। তিনি অবিলম্বে প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি চিহ্নিত মহল ষড়যন্ত্র করছে।

(নিহত উপজেলা চেয়ারম্যান)