এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজে হেয়ালিপনা, আহত হচ্ছেন পথচারীরা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ০৪ জুলাই ২০২৩ :নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। মাসখানেক আগে মহাখালীতে মাথায় রড় পড়ে মারা যায় একশিশু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটি মারা যাওয়ায় হয়তো ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে পথচারীদের ওপর মাঝেমধ্যেই পড়ে ধাতব বস্তু, যাতে আহত হন অনেকেই।

Advertisement

গেল ৩০ মে রাজধানীর মহাখালীতে দিনদুপুরে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে রড পড়ে নিহত হয় ১৪-১৫ বছরের শিশু। মৃত্যুর মাসখানেক পরেও জানা যায়নি ওই শিশুর নাম পরিচয়। ওই ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এক শ্রমিককে। গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় নিহত শিশুটি রড চোর চক্রের সহকারি ছিল। অথচ পুলিশের রিমান্ডে তা স্বীকার করেনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শ্রমিক হাসান আলী।

ঢাকা রেলওয়ে থানার উপ পরিদর্শক সেকান্দার আলী বলেন, আমরা এগুলো দেখছি, তদন্তও করছি। আসলে কথাটা ওরকম না।

আসলে সেদিন কি ঘটেছিল নাকি সচরাচর নির্মাণাধীন এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কোনো ধাতব বস্তু পড়ে নিচে? এমন প্রশ্ন ছিল রেলক্রসিংয়ের আশপাশে যারা জীবিকার তাগিদে দিনের বড় সময় থাকেন এখানে তাদের কাছে। বিশেষ করে রেলক্রসিংয়ের গেইটম্যানদের চাক্ষুস অভিজ্ঞতা হরহামেশাই ওপর থেকে পড়ে ছোট লোহা বা কাঠের টুকরা।

Advertisement

একজন বলেন, নিচে যদি রডটড থাকে তাহলো হয়তো চুরির কথা থাকতো। কিন্তু তেমন কিছু তো থাকে না। আরেকজন বলেন, তারা নেট ছাড়া, সেফটি ছাড়া কাজ করছে। সরাসরি পড়লে মানুষ মরলে মরবে এটা ওদের কোনো দায় না। রেলক্রসিংয়ের একজন হাতে রডের একটি টুকরা দেখিয়ে বলেন, আমরা এখানে কাজ করছি এই রডটি পড়েছে এখানে। আরেকজন রেল কর্মচারী বলেন, আমাদের দায়িত্ব পালনের জন্য রেল লাইনেই থাকতেই হয়, আমাদের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাদের সেফটি ব্যবস্থা ভালো না।

তারপরও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক জানান, সেফটি সিকিউরিটিতে কোন ঘাটতি নেই এই প্রকল্পে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, না না এখানে গাফলতির কিছু নাই। এখানে তো কাজই শেষ, এখানে কিছুই নাই। ওরা চুরির একটা বিষয় ছিল।

সরকারের এমন একটি প্রকল্পে কি কারণে মানুষের নিরাপত্তায় ব্যতয় হচ্ছে? এর ব্যাখা দেন অকুপেশনাল হ্যাজার্ড বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ বলেন, সরকার ও মালিক পক্ষ দুটো সাইড থেকেই এগুলোকে এনশিওর করার জন্য যথাযথ স্টেপগুলো বলে দেয়ার কথা। সেগুলো কি ঠিক মতো মানা হচ্ছে কিনা, সেটা এখন একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে আরকি।

Advertisement

ঢাকার বুকে নির্মাণাধীন প্রথম এক্সেপ্রেসওয়ে ২০১১ সালে কাজ শুরু হওয়া এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি।