ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,রোববার, ০২ জুলাই ২০২৩ : কাঁচা মরিচের ঝালে বাজার গরম। গেলো মাসের প্রচণ্ড তাপদাহ ও সময়মতো বৃষ্টি না হবার ফলে মরিচের ফলন বিপর্যয় হয়েছে। কৃষক বলছেন, এবার চার ভাগের একভাগ ফলনও হয়নি।
Advertisement
ছোট বড় ৮১টি মরিচের ওজন ১০০ গ্রাম। আড়তেই এর গড় দাম ৪৫ টাকা। অর্থ্যাৎ প্রতি পিস কাঁচা মরিচের দাম পড়েছে ৫০ পয়সা। ঢাকার বাজারে নয়।
এই দৃশ্যপট রোববার সকালে মরিচের আবাদ ও বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ঢাকার পাশের জেলা মানিকগঞ্জের ঝিটকা বাজারের আড়তে।
Advertisement
ঝিটকার হাটে কৃষক বস্তায় বস্তায় কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে আসতেন। কিন্তু এখন হাতের ব্যাগে করে যৎ সামান্য মরিচ নিয়ে বাজারে আসছেন।
পুরো ক্ষেতজুড়ে কেউ পেয়েছেন দুই কেজি, কেউ পাঁচ কেজি, কেউ আবার সাত কেজি। সেই মরিচ মানিকগঞ্জেই কৃষকরা বিক্রি করছেন ৪১০ থেকে ৪৫০ টাকায়।
বাজার ছেড়ে কাঁচা মরিচের ক্ষেতে গিয়ে দেখা মিললো কুঁকড়ে যাওয়া হাজারও গাছের। বেশিরভাগ গাছে ফুল এলেও মরিচ ধরেনি। যার কারণে মরিচের ফলনে ধস নেমেছে।
Advertisement
গেলো এপ্রিল-মে ও জুনের আট তারিখ পর্যন্ত সময় ছিলো বৃষ্টিহীন। এতে মরিচ গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মরে গেছে বা ফুল হয়নি।
এখন আবার শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। কৃষকের নতুন শঙ্কা জমে থাকা পানিতে এবার বাকি সব গাছও নষ্ট হবে। এতে করে চলতি মৌসুমে কাঁচা মরিচের ফলন নিয়ে চিন্তায় আছেন তারা।
কেবল মানিকগঞ্জ নয়, জানা গেছে মরিচ উৎপাদনের আরেক এলাকা পাবনা ও বগুড়াতেও এবার একই অবস্থা। ফলে কাঁচা মরিচের এই সঙ্কট হতে পারে দীর্ঘ মেয়াদি।
পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও কাঁচা মরিচের ঝাল বেশি। সেখানেও অতি গরমের কারণে এই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ফলনে ধস নেমেছে। আশা করা হচ্ছে ১৫ দিনে বদলে যাবে দৃশ্যপট।