ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩ : চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রাজধানীর কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. বিজয় কৃষ্ণ দাসের (বি কে দাস) সনদ ছয়মাসের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) থেকে তার এ স্থগিতাদেশ কার্যকর হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী- আগামী ছয়মাস তিনি নিজেকে কোথাও চিকিৎসক হিসেবেও পরিচয় দিতে পারবেন না। সম্প্রতি বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লিয়াকত হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ডা. বি কে দাস কর্তৃক আংশিক তালুকাটা অপারেশনে ১১ মাসের শিশুর মৃত্যু হয়। এ মর্মে শিশুটির বাবা ও মা কাউন্সিলে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিল অভিযোগকারী ও চিকিৎসক উভয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, চিকিৎসাকাজে চিকিৎসক বি কে দাসের যথেষ্ট গাফিলতি ছিল।’
Advertisement
এতে আরও বলা হয়, ‘এমতাবস্থায় বিএমডিসি আইন, ২০১০ (৬১ নং আইন)-এর ২৩(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংস্থা থেকে প্রদত্ত অধ্যাপক ডা. বি কে দাসের রেজিস্ট্রেশন (এ-১৬৮৮৬, তারিখ: ১১.০৬.১৯৮৮) ছয়মাসের জন্য স্থগিত করা হলো। স্থগিতাদেশ ২২ জুন ২০২৩ তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
‘এ সময়ে বিএমডিসি আইন, ২০১০ (৬১ নং আইন)-এর ধারা ২২(১) অনুযায়ী- তিনি কোথাও কোনোরূপ চিকিৎসা সেবা দিতে পারবেন না। এমনকি এ সময়ে তিনি নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয়ও দিতে পারবেন না’ বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
২০২১ সালের ২১ আগস্ট আব্দুল্লাহ আল আযান নামের ১১ মাস বয়সী এক শিশুকে আংশিক তালুকাটা চিকিৎসার জন্য কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. বি কে দাসের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয়। ২২ আগস্ট অস্ত্রোপচারের পর ওই শিশুটি মারা যায়।
এ নিয়ে আযানের বাবা আব্দুল্লাহ আল সায়েম ও মা তানজুম আক্তার বিএমডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঢাকার সিভিল সার্জন বরাবর ‘শিশুহত্যার’ অভিযোগ করেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। এ নিয়ে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জাগো নিউজে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
Advertisement