‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগদান শেষে শুক্রবার রাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে তিনি সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে রওনা দেন। এ সময় তিনি বিমানে থাকা যাত্রীদের কাছে গিয়ে তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
Advertisement
এ সময় যাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। তারাও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বিমানে থাকা ছোট্ট বাচ্চাদের মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের দোয়া করেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি এর আগে জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট) যাত্রা করেছিলেন।
এর আগে, গত ১৩ জুন চার দিনের সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী সুইজারল্যান্ডের জেনেভা যান।
১৪ জুন, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাসস্থানে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেইন বারসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সেখানে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’ এর প্লেনারিতে ভাষণ দেন।
শেখ হাসিনা মাল্টার প্রেসিডেন্ট ডক্টর জর্জ ভেলার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন, এরপর আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলও এর সদর দপ্তরে ডিজি থেকে আয়োজিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেন।
১৫ জুন তিনি ডব্লিউইএফ কার্যালয়ে এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একটি বৈঠকের পর ‘এ টক এট দ্য ডব্লিউইএফ’ এ যোগদান করেন। সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সন্ধ্যায় ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক ড. ওকোনজো-আইওয়ালা তাঁর বাসস্থানে সাক্ষাৎ করেন। তিনি সন্ধ্যায় একটি সামাজিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩: সকলের জন্য সামাজিক ন্যায়’ হলো সামাজিক ন্যায়বিচারকে সমর্থন করার জন্য বিস্তৃত, সমন্বিত এবং সুসঙ্গত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় সোচ্চারদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈশ্বিক ফোরাম।
Advertisement
এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি বৈশ্বিক জোট গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার একটি সুযোগ দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি স্বাগত জানিয়েছে। সম্মেলনে বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের অতিথিদের পাশাপাশি মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
সম্মেলনে আরও টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়তে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকা তুলে ধরে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে এবং নীতির সুসঙ্গততা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত এবং আরও ভালোভাবে সমন্বিত যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।