ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩ : রাজধানীর একটি বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বুধবার সকাল ছয়টার দিকে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
নিহতরা হলেন মাহমুদা হক বৃষ্টি (৩৩) ও সানজা মারওয়া (১০)। অভিযুক্ত বৃষ্টির স্বামী এস এম সেলিম (৪০)। তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টুঙ্গিবাড়ী উপজেলার চাষিরা গ্রামে। বর্তমানে পশ্চিম মেরুল বাড্ডা জামশেদ টাওয়ারের অষ্টম তলায় থাকতেন তারা।
Advertisement
বৃষ্টির মামা রাসেল সিকদার গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল রাত দেড়টার দিকে ফোনে বৃষ্টির অসুস্থতার কথা জানতে পারেন তারা। পরে মেরুল বাড্ডায় বৃষ্টির বাসায় গিয়ে তাকে ও তার মেয়ে সানজাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বৃষ্টির আট মাস বয়সী শিশুটি তখন খাটে শুয়ে ছিল। পরে তিনি ও সেলিম মিলে বৃষ্টি ও সানজাকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তখনই খবর পেয়ে বাড্ডা থানার পুলিশ ওই হাসপাতালে যায়।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা দ্রুত মা ও মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
এ ঘটনায় হাসপাতাল থেকেই অভিযুক্ত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত বৃষ্টির স্বামী সেলিমকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে মা-মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাদেক বলেন, খবর পেয়ে বনশ্রী ফরজী হাসপাতাল থেকে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাদের দু’জনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মাহমুদার আরেক মামা সোহেল জানান, মাহমুদার সাত-আট মাস বয়সী আরও এক সন্তান রয়েছে। সেলিম কিছুই করতেন না। ফ্ল্যাটের ভাড়া তুলে সংসার চালাতেন। মেরুল বাড্ডার একটি ভবনের আট তলায় তারা থাকতেন।