তাকে গুলি করে বহিষ্কার হবো : কর্মীকে নিয়ে কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), সিনিয়র রিপোর্টার , মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩ : কমিটি বাণিজ্য, তদবির ও নিজেদের বলয় তৈরি করাসহ নানান বিষয় নিয়ে আওয়ামী কৃষক লীগ নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এবার সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। তাও হাসপাতালে আরেক নেতার মায়ের লাশ দেখতে গিয়ে। নিজেদের ক্ষমতা জানান দিতে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষক লীগের সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইটের মায়ের লাশ দেখতে কয়েকদিন আগে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে যান কৃষক লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা দুজন সেখানে মহানগরের এক নেতাকে নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

 

কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একজন সংসদ সদস্য হয়ে প্রকাশ্যে নেতাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিতে পারেন কি না জানতে চাইলে উন্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা। বরং ও আমার নামে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছে। প্রেসিডেন্ট যদি মহানগরের নেতাকে উৎসাহিত করে সেক্রেটারির বিরুদ্ধে, তাহলে এর বিচারটা কী? প্রেসিডেন্ট তাকে (সোহেল) আমার পেছনে লাগিয়ে দিয়েছেন। তারা কৃষিবিদ সব নেতা এক হয়ে আমার পেছনে লাগছেন।

স্মৃতি বলেন, ‘আমাদের সভাপতি ইচ্ছাকৃতভাবে মহানগর নেতাদের দিয়ে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা করাচ্ছেন। তিনি নিজেই আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মাধ্যেমে বিভিন্ন বিষয়ে লেখতে উৎসাত দেন এবং তিনি নিজেও সেব লেখা শেয়ার দিয়েছেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাকে আমি হত্যার হুমকি দেইনি। তারে কইছি, অফিসে ঢুকতে দেবো না। তার কমিটি বাণিজ্যের প্রমাণ আছে। কমিটিতে সব তার লোক দিয়ে রাখছে। আমার শুধু হাতে গোনা কয়েকজন।‘

Advertisement

আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য এবং একটি সহযোগী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের হত্যার হুমকি ভালোভাবে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল। এই বিষয় নিয়ে কথা হয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে। তারা বলেন, এসব বিতর্কিত কথা বলে দলের সুনাম নষ্ট করছে। এভাবে প্রকাশ্যে একজন লোক গুলি করার হুমকি দিতে পারেন না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা বলেন, দলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কিছু করা উচিত না নেতাদের, সেটা সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক যেই হোক। তবে আমি ভিডিও না দেখে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।

কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দের কাছে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কৃষক লীগের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করবো না।

Advertisement

কমিটির বাণিজ্যও অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যখন অসুস্থ ছিলাম তখন আমাদের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি ঢাকা মহানগরে কমিটি দিয়েছেন। এছাড়া ঢাকার বাইরের কমিটিতে আগে সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষার করার পরে আমি স্বাক্ষর করি। কৃষক লীগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।