কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি,রোববার, ১১ জুন ২০২৩ : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দোকান লুট মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। এ মামলায় কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানসহ চার জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বিচারক।
Advertisement
রোববার (১১ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল কমলনগর আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন। বাদীর আইনজীবী মো. সোলাইমান মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের শাহজাহান, চরমার্টিন গ্রামের নুর আলম ও চরলরেন্স গ্রামের কাউছার।
এর আগে, থানার ওসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান মামলা দায়ের করেন। এতে নাম না জানা আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মজিবুর উপজেলার মধ্য চরমার্টিন গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও তোবারগঞ্জ বাজারের হার্ডওয়্যার দোকানের ব্যবসায়ী।
Advertisement
বাদী মজিবুর ও এজাহার সূত্র জানায়, শাহজাহানদের সঙ্গে মজিবুরদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এরই জেরে শাহজাহান মুজিবুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। এ মামলায় ১৮ এপ্রিল পুলিশ মুজিবুরকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ১৪ দিন জেল খেটে মজিবুর জামিনে মুক্ত হন। মুজিবুর জেলে থাকাকালীন গত ২৪ এপ্রিল শাহজাহানরা মজিবুরের দোকানের গ্রিল ভাঙে এবং দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। পরে জেল থেকে বের হয়ে ৪ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শাহজাহানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মজিবুর মামলা করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। ৭ জুন আদালতের নির্দেশনা পেয়ে কমলনগর থানা গ্রেপ্তারো পরোয়ানা নথিভুক্ত করে।
Advertisement
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন মামলার আসামি শাহজাহান ও মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে থানায় নিয়ে যান। পরদিন শুক্রবার (৯ জুন) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান আসামি শাহজাহানকে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। একইদিন সকাল ৬টার দিকে শাহজাহান লোকজনসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুজিবুরের বাসার সামনে যান এবং হত্যার হুমকি দেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনো আদালতের কোনো চিঠি পাইনি। আসামি শাহজাহান হার্টের রোগী ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে শর্ত দিয়ে ছাড়া হয়েছিল।