সনি হত্যার ২১ বছর: গ্রেপ্তার হয়নি দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতকরা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩ : ২০০২ সালের ৮ জুন ক্লাস শেষে হলে ফেরার পথে টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি। এরপর ২১ বছর পেরিয়ে গেলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন এই হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি ও নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরু। আরেক আসামি মুশফিক উদ্দিন টগর কারাভোগের পর বর্তমানে মুক্ত অবস্থায় আছেন।

Advertisement

কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সনি হত্যার মূল তিন আসামি মুকিত, টগর ও শুটার নুরুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এস এম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মুকিত অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে যান। শুটার নুরুও দেশের বাইরে পলাতক বলে জানা যায়।

সনির বড় ভাই শওকত রহমান রনি গণমাধ্যমকে বলেন, আসামিরা ওই মুহূর্তে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। হাইকোর্টের রায়ের পরও বাকি দণ্ডিত অপরাধীদের ধরতে সরকার আর কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি। দুর্ভাগ্যবশত তারা এখনও পুলিশের হাত থেকে পলাতক রয়েছে।

Advertisement

শওকত রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনির নামে প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি স্কুল করা হয়েছে। বছর তিনেক আগে সেটি সরকারিকরণ করা হয়। স্কুলটির জন্য তারা জায়গাও দিয়েছেন। তবে সেখানে এখনও নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। তাই সনির পৈতৃক নিবাসে স্কুলটির কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

হত্যাকারীদের শাস্তি কার্যকর না দেখেই আক্ষেপ নিয়েই গত ১১ ফেব্রুয়ারি মারা যান সাবেকুন নাহার সনি’র বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। বর্তমানে সনির মাও শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ।

Advertisement

কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সনি হত্যার দিনটিকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ হিসেবে পালন করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও সনির মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। তবে এ বছর দাবদাহের কারণে বড় কোনো আয়োজন করা হচ্ছে না বলে জানান শওকত রহমান।