ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩ : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যাদের বিশ্বস্ত যাত্রী দেশের এক কোটিরও বেশি রেমিটেন্স যোদ্ধা। গত ১৬ জানুয়ারি জেদ্দা থেকে দেশে ফেরার পথে এক রেমিটেন্স যোদ্ধা মারা যান। বিমানের গাফিলতিতেই মৃত্যু দাবি পরিবারের।
Advertisement
সৌদি প্রবাসী কবির আহমেদ। জন্ম নোয়াখালীর সেবারহাটে। সংসারে সুখের আশায় বাড়ি ছেড়েছেন দীর্ঘ ২৭ বছর আগে। বাবা-মা ও ৬ সন্তানের মধ্যে মেঝো হলেও সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকেই। কবির আহমেদ নিজেও এখন তিন সন্তানের জনক। তাই পরিবারের কাছে তার গুরুত্ব অভাবনীয়।
১৬ জানুয়ারি রাত আড়াইটা। দীর্ঘদিন পর কবির আহমেদ দেশে ফিরছেন। বিমানে উঠার আগে জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে স্ত্রী মারজাহান আক্তারের সঙ্গে কথা তার। স্বামীর দেশে ফেরা নিয়ে মারজাহানও বেশ আপ্লুত। তাই নিরাপদ যাত্রার ফরিয়াদ করেন সৃষ্টিকর্তার কাছে।
কবির আহমেদের ছোট ভাই জহির হোসেন। হযরত শাহজাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছেন ভাইকে নেয়ার জন্য। কারণ কবির তাকে সকাল আসতে বলেছিলেন।
Advertisement
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কেউ একজন কবিরের ফোন রিসিভ করেন। জানান, কবিরের অসুস্থ হওয়ার খবর।
ফোনে বাংলাদেশ বিমানের পরিচয় দেয়া ব্যক্তি কবিরের ভাইকে ভিআইপি গেটে আসতে বলেন। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়তে থাকে।
বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটেও লম্বা সময় অপেক্ষার পর কেউ একজন আবারও ফোন রিসিভ করে বলেন- আপনার ভাইয়ের অবস্থা খারাপ আমরা তাকে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে নিচ্ছি।
Advertisement
জীবনের তাগিদে যে প্রাণের নিরন্তর ছুটে চলা সেই প্রাণই এখন নিস্তব্ধ, নিঃস্প্রাণ। কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে ভাইয়ের নিথর দেহ দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যান জহির।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে-