ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩ : তানজিন তিশা। তরুণ প্রজন্মের ক্রেজ তিনি। নিয়মিত কাজ করছেন ওটিটি প্লাটফর্ম, টিভি নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র ও মিউজিক ভিডিওতে। চলচ্চিত্রেও কাজের কথাবার্তাও চলছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ২টার দিকে শরীফুল রাজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে দেখা গেল অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থার ছবি ও ভিডিও ক্লিপ।
সেই ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায় তানজিন তিশা আছেন কোনো এক লিফটে মধ্যে। সেখানে তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এমনটা ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবুও তথ্যটি নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, তানজিন তিশা অশ্লীল ভাষায় কথা বলছেন, আবার গানের তালে তালে নাচছেন লিফ্টেও নেচেছেন।
Advertisement
টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হওয়া এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে নায়ক শরীফুল রাজ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তবে রাজের ‘দুঃখ’ প্রকাশ মানতে নারাজ তানজিন তিশা। বুধবার (৩১ মে) তিশা ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। রাজের উদ্দেশে লিখেন, ‘শুধু দুঃখ প্রকাশেই কেন ঘটনা শেষ করতে চাইছো রাজ?’ দেশে ফিরে এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও উল্লেখ করেন তিশা।
তিশা আরও বলেন, একজন মানুষের প্রাইভেসি হেম্পার করা, হয়রানি করা বা পারসোনাল ভিডিও অনুমতি ছাড়া পাবলিকলি প্রকাশ করা, এটা বিগ ক্রাইম। সো যার আইডি বা যিনি এটি আপ করেছেন বাংলাদেশে ফিরে আমি তার বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে ইতিমধ্যেই অনেকই ধারণা করতে পারছেন, অনেকের মুখে মুখেও এটি শোনা যাচ্ছে, কে বা কারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আমি এখানে কারোর নাম উল্লেখ করতে চাই না, আমি দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান রেখে পদক্ষেপ নেব। সেই আইনই বলে দেবে কে বা কারা এই ব্যাক্তিগত ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করেছে, কে বা কারা এই ভয়ংকর অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
Advertisement
অন্যদিকে, অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে বলেন, দয়া করে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। কারণ আমি নিশ্চিত, ওর (রাজের) আইডি হ্যাকড হয়েছে। আর কে হ্যাক করেছে, সেটা আমরা সবাই জানি, প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না (সে-ই করেছে)। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত, দুটি শো-তে অ্যাটেন্ড করার কারণে বেশ কিছুদিুন ধরে তিশা অবস্থান করছেন আমেরিকাতে। বাংলাদেশে যখন সকাল তখন সেখানে গভীর রাত। আর এজন্য বাংলাদেশের খবরাখবর খুব বেশি একটা জানেন না তিনি। তিশাকে জড়িয়ে যে ঘটনাটা ঘটে গেছে, সেটি পরে তিনি দেখেছেন এবং জানতে পেরেছেন।