ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ১৭ মে ২০২৩ : মাত্র দুই যুগে রাজধানীর ৭০ ভাগ জলাশয় উধাও হয়ে গেছে। একটি আদর্শ নগরের আয়তনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাভূমি থাকার কথা থাকলেও, রাজধানীতে তা নেমেছে ৫ থেকে ৬ ভাগে। কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় প্রভাবশালীরা জলাশয় ভরাট করছে, পিছিয়ে নেই সরকারি সংস্থাও। এ অবস্থার জন্য আইন প্রয়োগের অভাবকে দায়ী করেন নগরবিদরা।
তথ্যমতে, ঢাকা উত্তর সিটির বসিলার লুটের চরে একসময় টোটালিয়া বিল ছিল। যার বেশির ভাগই এখন দখলদারদের পেটে। একসময়ের এই বিল পরিণত হয়েছে ডোবায়। দখলদার আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছে না স্থানীয়রা। শুধু এই আবাসন প্রতিষ্ঠান নয়, কেরাণীগঞ্জ এলাকায় ৫০টিরও বেশি নামে-বেনামে আবাসন প্রতিষ্ঠান নদী জলাশয় ভরাট করে চলেছে।
Advertisement
দখল উৎসবে পিছিয়ে নেই সরকারি সংস্থাও। রাজধানীর গাবতলীর গৈদারটেকে কয়েক দিন আগেও ছিল জলাভূমি। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মান করছে। অথচ ড্যাপের নকশায় একে মুক্ত জলাশয় হিসেবে দেখানো হয়েছে। খোদ নগর কর্তৃপক্ষের অনুরোধও শুনছে না সরকারি সংস্থাটি।
নগরবিদরা বলছেন, রাজধানীজুড়ে যেভাবে আগুনের ঘটনা ঘটছে, তাতে পানির সংস্থান নিয়ে এখনি না ভাবলে আগামীতেও চরম মাশুল দিতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, ভরাট করা বালুগুলো দ্রুত সময়ে না সরালে অবশ্যই আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
Advertisement
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স বিআইপির গবেষণা বলছে, ১৯৯৯ সালে রাজধানীতে জলাভূমি ছিল ১৯ দশমিক ৯ বর্গকিলোমিটার, যা নগরের আয়তনের ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণে আইন থাকলেও জলাশয় কমে এখন হয়েছে ৫ থেকে ৬ শতাংশ। দুই দশকে ১৩ দশমিক ২২ বর্গকিলোমিটার জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে। যা মোট আয়তনের প্রায় ৭০ শতাংশ।
Advertisement
রাজধানীকে বাঁচাতে হারিয়ে যাওয়া জলাশয়গুলো উদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।