জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে চাচাকে হত্যা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),শেরপুর প্রতিনিধি,শনিবার, ০৬ মে ২০২৩ : শেরপুরে একটি হত্যাকাণ্ডে ‘ক্লু লেস’ মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যা জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় তাদের ফাঁসাতে আপন চাচাকে হত্যা করেন ভাতিজারা। ওই প্রতিবেশীদের নামে মামলার পর সাক্ষীর খাতায়ও নাম লেখান তারা।

শুক্রবার (৫ মে) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এসপি মো. কামরুজ্জামান।

Advertisement

তিনি জানান, ২০ জানুয়ারি শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া গ্রাম থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায় নিহত ব্যক্তির নাম রফিক মিয়া (৫৫)। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের ছেলে নবী হোসেন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে দেখানো হয় রফিকদের গোষ্ঠীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত থাকা প্রতিবেশী কুদরত আলী আঙ্গুর, মস্তু মিয়া, রস্তমসহ ৯ জনকে। এই মামলা আবার সাক্ষীও ছিলেন খুন হওয়া রফিক মিয়ার ভাতিজা ওয়াসিম, জসিম, জিয়ার আলম ও ফয়সাল মিয়া।

পুলিশ সুপার জানান, তদন্তের শুরুতেই পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে ওই ভাতিজাদের আটক করা হয়। এ সময় ওই এলাকার জনৈক রাজু মিয়া পুলিশের কাছে এসে ঘটনার বিষয়বস্তু খুলে বলে এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

রাজু জানায়, ঘটনার দিন রাতে তাকে (রাজু) দিয়েই ভাতিজারা চাচা রফিককে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। পরে চাচা আর বাড়ি ফেরে নাই। ভাতিজাদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও এক দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে ঘটনার দিন রাতে চাচাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।

এসপি কামরুজ্জামান জানান, অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্যে শুক্রবার সারাদিন পুকুরে চারটি সেচ পাম্প বসিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস সোহেল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বছির আহমেদ বাদল, ওসি ডিবি মো. মুশফিকুর রহমান, ডিআইও-১ জাহাঙ্গীর আলম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু নাঈম প্রমুখ।