ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চাঁদপুর প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ০২ মে ২০২৩ : পরিবেশের ক্ষতিকারক ও অপচনশীল প্লাস্টিক কুড়িয়ে এনে তা রিসাইকিলিংয়ের মাধ্যমে কেকড়া সূতা তৈরি হচ্ছে চাঁদপুরের পুরানবাজারে। এতে একদিকে বেকার নারী পুরুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে, অপরদিকে এখানকার তৈরিকৃত সুতা দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির মধ্য দিয়ে আয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
Advertisement
এ উৎপাদনে খুশি পুরানবাজারের মেসার্স জুই প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিতে ইলিশ মার্কার কেকড়া সূতা তৈরির শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২ মে) সকালে সরজমিনে এই কারখানায় গেলে শ্রমিকরা তাদের ভালো থাকার কথা তুলে ধরেন।
Advertisement
শ্রমিকরা বলেন, বেকার বসে না থেকে এ কাজে জড়িত হয়ে ডাল-ভাত খেয়ে ভালো আছি। প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ কেজি কেকড়া সূতা তৈরি হয়। এখানে গড়ে ১ টনের মতো প্লাস্টিক রিসাইকিলিং কাজ হয়। যারমধ্যে শুধুমাত্র কেকড়া সূতাই তৈরি হয় প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার। মেশিন পরিচালনাসহ যাবতীয় কাজে মালিকসহ একে অপরকে সহযোগিতা করায় একাজে তেমন একটা বেগ পেতে হয় না।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক সামগ্রী সংগ্রহ করার মধ্য দিয়ে এতে শহরের পরিবেশ দূষণমুক্ত হচ্ছে। তাই এ ধরণের প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র চাইলে আমরা বিধি মোতাবেক দ্রুতই তাদেরকে ছাড়পত্র দিয়ে পাশে থাকবো।
Advertisement
এ বিষয়ে চাঁদপুরের পুরানবাজারের মেসার্স জুঁই প্লাস্টিক ইন্ড্রাস্ট্রির স্বত্বাধিকারী উত্তম কুমার দে বলেন, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্যকে আনাচে কানাচে থেকে কুড়িয়ে আনার এ কাজে পরিচ্ছন্ন কর্মী, পথশিশু, ভাঙ্গারি দোকানি, প্যাকেজারসহ কারখানায় পৌঁছে চাহিদা অনুযায়ী সূতা তৈরির কাজে- সবমিলিয়ে কয়েকশ’ নারী-পুরুষের এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে কেকড়া সূতার পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে পেড ও মুলাম। পেডগুলো বিদেশে রপ্তানি করা হয়। আর মুলামের কুচা দিয়ে দেশে বিভিন্ন রিসাইকেলিং প্লাস্টিক মালামাল তৈরি হয়। এছাড়া কেকরা সূতা এখানকার পুরাণবাজারসহ আশপাশের জেলায় বিক্রি হয়। এ শিল্পটিকে আরো সমৃদ্ধ করতে তাই সরকারি পৃষ্টপোষকতা প্রত্যাশা করছি।
Advertisement
এ প্রসঙ্গে বিসিক চাঁদপুরের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহরিয়ার খান বলেন, এ উদ্যোক্তা যদি আমাদের কাছে আসে তাহলে অবশ্যই পরিবেশবান্ধব এ কারখানাকে টিকিয়ে রাখতে প্রশিক্ষণ এবং ঋণ সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবো। ওনারা যদি এখানে বিধিমোতাবেক প্লট দাবী করেন তাহলেও খালি থাকা সাপেক্ষে আমরা প্লট বরাদ্দ দিবো এবং ঋণ তো দিবোই।
