ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,রোববার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ফাঁদ মামলায় ঘুসের ২০ হাজার টাকাসহ আটক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) এক কর কর্মকর্তাকে সাড়ে চার বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আলী আকবর নামের এ কর্মকর্তা চসিকের সার্কেল-২ এর উপ-কর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
Advertisement
রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। রায়ে পৃথক দুই ধারায় তাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৯ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্ত আলী আকবর চট্টগ্রামের পটিয়ার ধলঘাট ইউনিয়নের তেকোটা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার আগে থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
Advertisement
রায় ঘোষণার পর আলী আকবরকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন আদালতের দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে দুদকের ফাঁদ মামলায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুসের টাকা নেওয়ার সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপ-কর কর্মকর্তা আলী আকবরকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইভাবে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন সাক্ষ্য দেন।
Advertisement
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালে চান্দগাঁও থানার রূপালী আবাসিক এলাকার মো. জামাল উদ্দীন হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে গেলে ৪০ হাজার টাকা ঘুস দাবি করেন চসিকের রাজস্ব সার্কেল-২ এর উপ-কর কর্মকর্তা আলী আকবর। পরে ২০ হাজার টাকা ঘুস দেওয়ার বিষয়ে রফা হয়। বিষয়টি নিয়ে জামাল উদ্দিন দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এলাকার অফিসে ফাঁদ মামলার অভিযান পরিচালনা করে দুদক টিম। এসময় আলী আকবরকে ঘুসের ২০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।
এরপর দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন। একই কার্যালয়ের ওই সময়ের সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ মামলাটি তদন্ত করে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে ১৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।
Advertisement
আদালত ২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারি একমাত্র আসামি আলী আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলা চলাকালীন আসামি জামিনে মুক্ত হন। পরবর্তীতে বিচার চলাকালীন মূল সাক্ষীকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে আদালত আসামির জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠান।