গুলশানের বাসভবন থেকে সপরিবারে বঙ্গভবনে উঠলেন রাষ্ট্রপতি

SHARE

(রাষ্ট্রপতি  মো. সাহাবুদ্দিন)

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩ : গুলশানের বাসভবন থেকে সপরিবারে বঙ্গভবনে উঠলেন রাষ্ট্রপতি  মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাতে রাষ্ট্রপতি তার পরিবার নিয়ে বঙ্গভবনে উঠেছেন।

Advertisement

এর আগে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার সকাল ১১টার দিকে বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে (সাহাবুদ্দিন) রাষ্ট্রপতির পদে শপথ বাক্য পাঠ করান।

মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন। রাষ্ট্রপতি হামিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন অতিবাহিত করেন।

Advertisement

স্বাধীনতার পর থেকে ১৭ জন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এর মধ্যে মো. আবদুল হামিদই প্রথম ব্যক্তি, যিনি পরপর দুইবার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগ গত ১২ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী মনোনীত করে। পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে এখন পর্যন্ত অভিনন্দন জানায়নি; বরং বিএনপির বলে আসছে, তারা যেহেতু এই সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে, ফলে সরকার কাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করল, এ নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।

১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

Advertisement

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর মো. সাহাবুদ্দিন কারাবরণ করেছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার পর্যায়ে আইন মন্ত্রণালয় নিযুক্ত ‘সমন্বয়কারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮২ সালে বিসিএসের মাধ্যমে বিচার বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৭ বছর পর তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

Advertisement

২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুদকে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৭ সালে তিনি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হন। পরে তিনি ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। এই দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন তিনি।