ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ : রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার সময় ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন অনেক ব্যবসায়ী। ফুটওভার ব্রিজ ভাঙার খবর পেয়ে তারা জড়ো হন সেখানে।
Advertisement
সে রাতের ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ফুটওভার ব্রিজ ভাঙার সময়ও মার্কেটে বিদ্যুৎ ছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ব্রিজটি ভাঙার সময় প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়।
তারপরই বিকট শব্দে মার্কেটের মাঝামাঝি অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই আগুনে পুড়ে গেছে কয়েকশ’ দোকান। আগুন নেভানোর জন্য ছিটানো পানিতে নষ্ট হয়েছে বহু টাকার মালামাল।
Advertisement
শনিবার ভোর চারটা ৩৩ মিনিট। এক ভিডিওতে দেখা যায়, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা নিউ সুপার মার্কেটের সাথে যুক্ত ফুটওভার ব্রিজের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন।
ব্রিজের উপরে ও নিচে বেশ কিছু দোকান ছিলো। সিটি কর্পোরেশনের লোকজন কাজ শুরু করার পর নিজেদের মালামাল সরিয়ে নিতে রাতেই ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে যান।
Advertisement
কিছুক্ষণ পরই হুইল এক্সক্যাভেটরের সাহায্যে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। তখন সময় চারটা ৩৭ মিনিট। নিউ সুপার মার্কেটে তখনও বিদ্যুৎ ছিলো।
নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান একাত্তর টিভিকে জানিয়েছেন, এক্সক্যাভেটর লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো মার্কেট কেঁপে উঠে।
এই প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানান, নিউ সুপার মার্কটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা ব্রিজটিতে অভিযান চলার সময় মার্কেটের মাঝামাঝি অংশে বিকট শব্দের পরই আগুন ছড়ায়।
Advertisement
সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন নেতৃত্বস্থানীয় ব্যবসায়ী ফরমান মোল্লা। ব্রিজ ভাঙার খবরে তিনি সেখানে ছুটে যান। ঈদের আগে ফুটওভার ব্রিজটি না ভাঙতে ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধও করেন।
তিনিও বলছেন, ব্রিজ ভাঙার সময়ই আগুনের খবর পেয়ে বিষয়টি উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান হয় এবং কিছুক্ষণ পরই তারা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার সিঁড়ি ঘরে ছিলো বিদ্যুতের মূল পয়েন্ট। সেখান থেকেই আগুন ছড়ায় বলে সন্দেহ করছেন তারা।
Advertisement
তবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বলছে, আগুন লাগার আধা ঘণ্টা আগেই তাদের দলটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অভিযানে কোনো গ্যাস কাটারও ব্যবহার করা হয়নি।
রোববারও ফুটওভার ব্রিজের এক প্রান্তে দেখা গেছে একটি গ্যাস সিলিন্ডার। গ্যাস কাটারের জন্য এমন সিলিন্ডার ব্যবহৃত হয়।