ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রংপুর প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩ : রংপুরে ধার দেয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় শরীরে কেরোসিন ঢেলে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় শ্বশুর ও ননদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
Advertisement
বুধবার (১২ এপ্রিল) ময়মনসিংহের ফুলবাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শ্বশুর ও ননদ গৃহবধূকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
Advertisement
রাত ১১টার দিকে রংপুর নগরীর আলমনগর স্টেশন এলাকায় নিজেদের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১৩ এর প্রধান কমান্ডার আরাফাত হোসেন।
গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন গৃহবধূর শ্বশুর আকতার হোসেন এবং ননদ আলেয়া বেগম। আখতার মিয়া রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ থানার নাচনিয়া মহল্লার মৃত আব্দুল মিয়ার ছেলে। আর ননদ (আখতার মিয়ার মেয়ে) একই থানার খাসবাগ এলাকার রমজান আলীর স্ত্রী।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কমান্ডার জানান, মাহিগঞ্জের স্বপন মিয়ার স্ত্রী সালেমা বেগম তার ননদকে ধার দেয়া ১০ হাজার টাকা গত ২৪ মার্চ ফেরত চান। এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ বাধে। পরে ২৮ মার্চ এ নিয়ে তর্কের জেরে শ্বশুর আক্তার হোসেন ও ননদ আলেয়া বেগম গৃহবধূর সালেমা বেগমের ঘরে ঢুকে মারপিটের পর তার গায়ে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
Advertisement
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে এবং পরে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান। সেখানেই পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ৩১ মার্চ মারা যান সালমা বেগম।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় মামলা হলে শ্বশুর ও ননদসহ অন্যান্যরা গা ঢাকা দেন। পরে বুধবার প্রধান আসামি শ্বশুর আক্তার হোসেন ও দ্বিতীয় আসামি ননদ আলেয়া বেগমকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
র্যাব কমান্ডার আরাফাত বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে তাদের মাহিগঞ্জ থানায় পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।