মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি চেয়ে রিভিউ আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এবার তার (সাঈদী) আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছে তার ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী।
তিনি বলেন, আমরা সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউ আবেদনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। সম্ভব হলে আজ’ই (বৃহস্পতিবার), না হলে আগামী সপ্তাহে রিভিউ দায়ের করা হবে।
গত মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি, ২০১৬) সাঈদীর অামৃত্যু কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
তবে ওইদিন (১২ জানুয়ারি) সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান বলেছিলেন, “আমরা রিভিউ করতে চাই না, তবে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ করলে আমরাও রিভিউ আবেদন করবো।”
এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পাঁচজন বিচারপতির স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬১৪ পৃষ্ঠার সাঈদীর রায় প্রকাশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করা যাবে। সে হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সাঈদীর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার শেষ দিন।
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন। অন্য চারজন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি প্রমাণিত হয়। এই মামলায় আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ১৬ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। এর ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়।