ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি,সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩ : অতিমাত্রায় পানি শোষণ করে মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয় ইউক্যালিপটাস গাছ। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এ গাছের জায়গায় ফলজ গাছ রোপণের পরামর্শ কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির। তবে, নাটোরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বাড়ছে ইউক্যালিপটাস গাছের সংখ্যা।
Advertisement
রোপণের পর দ্রুত বড় হয় ইউক্যালিপটাস গাছ। এর কাঠের চাহিদা বেশি থাকায় উত্তরাঞ্চলে বন্ধ করা যাচ্ছে না এর বিস্তার।
স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় রোপণের কয়েক বছরেই ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়। যার কারণে এই গাছের চাহিদা বেশি। তবে, ফসলি জমিতে ইউক্যালিপটাসের পাতা পড়ে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি কমছে ফসলের উৎপাদন।
Advertisement
একেকটি পূর্ণবয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ দিনে পানি শোষণ করে ৫০ লিটার পর্যন্ত। পাখিরাও বাসা বানায় না এ গাছে। তবে, লাভের আশায় জমিতে এ গাছ রোপণ করে থাকেন অনেকেই। তাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা পরিবেশবিদদের।
Advertisement
পরিবেশ সংগঠক যশোধন প্রামানিক বলেন, ইউক্যালিপটাস গাছের কারণে কৃষকের ফসলহানি ঘটছে। এর পরিবর্তে অন্য কোনো ফলের গাছ রোপণ করা হলেও মানুষও কিছু খেতে পারতো, পাখিরাও খেতে পারতো। সেক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা হতো।
Advertisement
বিষয়টিতে ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই বলে জানায় স্থানীয় বনবিভাগ। নাটোর বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ইতোপূর্বে যেগুলো রোপণ করা হয়েছিলো সেগুলো কর্তন করা হচ্ছে। আমরা বর্তমানে ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করছি না। দেশিয় বনজ ও ফলজ বিভিন্ন প্রকারের গাছ রোপণ করছি ‘
Advertisement
সামাজিক বনায়নের আওতায় আশির দশকে উত্তরাঞ্চলে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় ইউক্যালিপটাস গাছের চারা। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় চারা উৎপাদনে। ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস রোপণে নিরুৎসাহিত করতে জনসচেতনতা তৈরির পরামর্শ বিশ্লেষকদের।